পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১৮ কলিকাতা সেকালের ও একালের । একবার এই দোলের সময় ইষ্ট-ইণ্ডিয়া-কোম্পানীর জনকয়েক ফাম খামরায়ের ঠাকুরবাড়ীতে জোর করিয়া প্রবেশ করিবার চেষ্টা করেন। এন্টনি সাহেব, তাহাদিগকে ঢুকিতে দেন নাই। কথাটা জবচাকে নিকট পৌছিলে, তিনি ঘোড়ার চাবুক লইয়া এন্টনিকে প্রহার করেন। তাহার পর বিবাদ মিটিয়া যায়। ইহার পর হইতে, এন্টনি সাহেব কলিকাল ছাড়িয়া কাচড়াপাড়ায় বাস করেন। এখনও কাচড়াপাড়ায়, এষ্টনি সাহেবের বাড়ী ও হাটের স্থান লোকে দেখাইয়া দেয়। এই এষ্টনি সাহেবের পৌত্ৰই, বিখ্যাত কবিওয়ালা ফিরিঙ্গি-এন্টনি । চিৎপুর-রোড। চিৎপুর-রোড, কলিকাতার একটী অতি পুরাকালের পথ। মোগল বাদসহিদিগের আমল হইতে এই পথটর অস্তিত্ব। তখন ইহার দুই পাশে ভীষণ জঙ্গল ছিল । এই জঙ্গলের মধ্যস্থলে, অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথে যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেখর-ঠাকুর দেখিয়া জঙ্গলসমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়া,কালীঘাটে যাইতেন হলওয়েল, এই পথটর একাংশকে a road leading to Collegot förgl GIgą করিয়া গিয়াছেন। চিত্রেশরীর নাম হইতেই, এই পথটার নাম “চিৎপুর" হইয়াছে। ছিক্ৰেশ্বরীর মন্দির বহুকালের। স্বনামপ্রসিদ্ধ হলওয়েল সাহেবের অমলের, ব্লাকজমীদার গোরিন্দরাম মিত্র মহাশয় এই মন্দিরটা নূতন করিয়া নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। গোবিন্দরাম_মিত্র, কুমারটুলির মিত্ৰগণের আদিপুরুষ। পুরাতন কলিকাতার মধ্যে, তিনি একজন মানুষের মত মাহ্য ছিলেন। তাহার নবরত্ব, আজও র্তাহার কীৰ্ত্তি-ঘোষণা করিতেছে। ১৭৩৭ অব্দের ঝড়ে, এই নবরত্বের চূড়া ভাঙ্গিয়া যায়। র্তাহার বাড়ীর ছর্গোৎসবও, সেকালের কলিকাতার এক দর্শনীয় জিনিস ছিল। এই গোবিন্দরাম, কলিকাতার ব্ল্যাক-জমীদার ও সহকারী ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। চোর ডাকাতের, তাহার নাম শুনিলে ভয়ে কঁাপিয়া উঠিত । নবাব সেরাজউদৌল যে সময়ে কলিকাতা লুঠ করেন, সেই সময়ে গোবিদরাম নিজের বরকন্দাজ ও কোম্পানীর কয়েকজন সিপাহী লইয়া নিজের সম্পত্তি রক্ষণ করেন। অন্তান্ত বাঙ্গালীদের মত, তিনি কলিকাতা ছাড়িয়া পলায়ন করেন নাই। এই সুপ্রসিদ্ধ মিত্রবংশের এক শাখা, কাশীধামে প্রাসাদতুল্য বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া আজও বসবাস করিতেছেন।