পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। 6ግ হওয়ায়, প্রতাপ অতিশয় মনঃক্ষুন্ন হয়েন । এই ঘটনার, বসস্তরায় সম্বন্ধে হার পূর্ব ধারণা অতি প্রবলভাবে মনোমধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে। চনি পিতৃব্যের উপর মহাবিরক্ত হন । চাকসিরি লাভে বিফল মনোরথ হইয়া, প্রতাপ পূৰ্ব্ববঙ্গে স্বীয় আধিপত্য লক্ষ্ম রাখিবার জন্য, আর একটা নুতন কৌশল অবলম্বন করিলেন। তাহার লো বিন্দুমতীর সহিত, চন্দ্রদ্বীপ-রাজ মহাবীর কলাপনারায়ণের পুত্র রামন্দ্রের বিবাহ দিলেন । কিন্তু এ বিবাহও সুখকর হইল না । কেন—তাহা লিতেছি । • পিতার স্থায় রামচন্দ্রও একজন বীরপুরুষ ছিলেন। রামচন্দ্র বহুসংখ্যক যুদ্ধে ফিরিঙ্গি, পটুগীজ ও মগদিগকে পরাজিত করেন। একবার রামচন্দ্র, ঢুলুয়ার রাজা লক্ষণমাণিক্যকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়া বন্দীভাবে রাজধানীতে আনেন। এরূপ বীর জামাতা পাইয়াও, প্রতাপ সুখী হন নাই। কেহ কেহ বলেন, জামাতা রামচন্দ্রকে নিহত করিয়া, তাহার রাজ্য নিজরাজ্য-ভূক্ত করিবার জন্ম, প্রতাপ বহুচেষ্টায় তাহণকে কারারুদ্ধ করেন । রামচন্দ্র র্তাহার শু্যালক, কুমার উদয়াদিত্যের সহায়তায় কারাগার হইতে পলায়ন করিয়া আত্মরক্ষণ করেন । আবার কেহ কেহ বলেন, বসন্তরায় ও তাহার পুত্ৰগণ, রামচন্দ্রের মনে এরূপ একটা ধারণা দৃঢ়বন্ধ করিয়াদেন যে, রাজ্যলোলুপ প্রতীপ তাহাকে হত্যা করিয়া চঞ্জৰীপ-রাজ্য অপহরণ মানসে, র্তাহাকে জামাতাপদে বরণ করিয়াছেন। উপযুক্ত অবসর পাইলেই, তিনি তাহাকে নিহত করিয়া সংকল্প সিদ্ধি করিবেন। যে কোন কারণেই হউক, প্রতাপ তাহার জামাতা রামচন্দ্রকে কারারুদ্ধ করিলে, রামচন্দ্র, রামনারায়ণ নামক এক বিশ্বস্ত ভূত্যের সহায়তায়—সে যাত্রা যশোর হইতে পলাইয়া প্রাণ রক্ষণ করেন। রামনারায়ণ প্রভুকে স্বন্ধে মইয় গভীর নিশীথে নদীতীরে উপস্থিত হয়। ঘাটে, রামচন্ত্রের নৌকাসমূহ বাধা ছিল । রামচন্দ্র ষাটট দাড়-বিশিষ্ট দ্রুতগামী এক নৌকায় আরোহণ করিয়া নৌকা ছাড়িয়া দিলেন। যশোরের ঘাট ছাড়িবার পূৰ্ব্বে, তোপধ্বনি করিয়া প্রতাপকে জানাইলেন—“আমি চলিলাম।” গভীর রাত্রে, সহসা বজ্রনাদী তোপধ্বনি শুনিয়া, প্রতাপাদিত্য বিন্মিতচিত্তে কারণানুসন্ধান করিতে গিয়া জানিতে পারিলেন, ষে উাহার অবরুদ্ধ জামাতা ঝামচন্দ্র, কারাগার হইতে পলাইয়াছেন। তিনি তৎক্ষণাৎ অতি দ্রুতগামী নৌকায় জনকয়েক দূতকে রামচক্সের পশ্চাদ্ধাবনের জন্ত