পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৮২ কলিকাতা সেকালের ও একালের । হন—স্বনামখ্যাত স্যর ইলাইজা ইম্পি। এই আদালত প্রতিষ্ঠার ཙེ་བ་ག་གཡོར་ sè–“To protect the natives from oppression and to give India the benifits of English Law. Tra entèwi ef> *ts. স্যর বার্লিস পীকক পৰ্য্যস্ত, সেকালের সুপ্রীম-কোর্টে যে সমস্ত প্রধান জজ নিযুক্ত হইয়াছিলেন, তাহারা যথাসাধ্য চেষ্টা দ্বারা উহাদের কর্তব্য পালন করিয়া গিয়াছেন। সমগ্র বেঙ্গল-প্রেসিডেন্সির জন্য আরও দুইটী আদালত প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ইহাদের একটর নাম “সদর-নিজামত-আদালত”। সমগ্র বঙ্গের ফৌজদারী-মামল সমূহের আপীলের শুনানি এই আদালতে হইত। ইতিপূৰ্ব্বে দেওয়ানী-মোকদ্দমার আপীলের শেষ বিচারভার, সকেন্সিল গবর্ণর সাহেবের হস্তে ন্যস্ত ছিল। কিন্তু নূতন চাটার দ্বারা গবর্ণর ও কৌলিলের কার্য্য-প্রণালীর পরিবর্তন ঘটায়, হেষ্টিংস, ইম্পিকে সুপ্রীম-কোটের প্রধান জজীয়তী ছাড়া—সদর-দেওয়ানী আদালতের প্রধান জজ করিয়া দেন। ইম্পির প্রসঙ্গে আমরা ইতিপূর্বে এ সম্বন্ধে অনেক কথা বলিয়াছি। যাহা হউক, এই পদে অধিষ্ঠিত হইয়া ইম্পি মফঃস্বলের নিম্ন আদালতসমূহের কার্য্য পরিচালনা সম্বন্ধে কতকগুলি নিয়ম বিধিবদ্ধ করেন । বর্তমানকালের নিয়মসমূহ ইম্পির প্রণোদিত এই নিয়মাবলীর উপর প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ১৮৬২ খ্ৰীষ্টাব্দের ১৪ই মে—এক নূতন আইনের বলে, এই সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন আদালতের সমীকরণ হইয়া বর্তমান হাইকোট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নবপ্রতিষ্ঠিত হাইকোর্টের প্রথম চিফ-জষ্টিস, স্তর বার্লিস পিকক। র্তাহার সহযোগীরূপে দ্বাদশজন পিউনী-জজও এই আইনের বলে নিযুক্ত হন। হাইকোট প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে, সদর-দেওয়ানী-আদালত, সদর-নিজামত-আদালত ও সুপ্রীম-কোটের লোপসাধন হয়। এই নব প্রতিষ্ঠিত হাইকোটের জজেদের মধ্যে, আটজন কোম্পানী-বাহাদুরের ভূতপূৰ্ব্ব আদালত হইতে আসেন। বাকী চারিজনের মধ্যে, দুইজন (স্যর চালর্স জ্যাক্সন ও স্যর মর্ডান্ট ওয়েলস,) মুখ্ৰীম-কোটের জজ আর জজ নৰ্ম্মান ও মর্গান ব্যারিষ্টার-জজ। পূৰ্ব্বোক্ত আদালতত্ৰয়ের হস্তে যে সমস্ত বিচার ক্ষমতা ছিল—তাহ নবপ্রতিষ্ঠিত হাইকোটার জজেদের হস্তে অর্পিত হয়। ১৮৬৫ খ্ৰীষ্টান্ধের नूठन “লেটাস-পেটেন্ট” (Letters Patent ) দ্বারা, হাইকোটের জুরিসভিকুলান বা বিচারসীমা পর্য্যস্ত নিৰ্ধারিত হইয়া যায়। বর্তমানে এই হাইকোটে অনেক বাঙ্গালী-জজ নিযুক্ত হইয়াছেন।