পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

尋や কলিকাতা সেকালের ও একালের । জন্য অগ্রসর হইলেন। মাতলা-দুর্গের নিকটবৰ্ত্তী হইবামাত্র, প্রতাপের সৈন্যগণ, মোগলসৈন্যের উপর ভীষণ গোলা-বর্ষণ করিতে আরম্ভ করিল। স্থলপথে যে সকল মোগল-সৈন্য আসিয়াছিল, স্বৰ্য্যকান্ত ও শঙ্কর, পশ্চাদ্ধাবিত হইয়া ভীমাক্রমণে, তাহাদের বিপৰ্য্যস্ত করিতে লাগিলেন। পটুগীজ রড, জলপথে মোগলদিগকে আক্রমণ করিল। আহত ও নিহতগণের শোণিতস্রোতে নদীর জল আরক্ত-বর্ণ ধারণ করিল। স্বয়ং প্রতাপ ও শঙ্কর, ব্যুহের নানাস্থানে উপস্থিত হইয়া,হিন্দু-সৈন্যদিগকে প্রোৎসাহিত করিতে লাগিলেন। এই ভীষণ. যুদ্ধের পরিণামে, প্রতাপের হস্তে ইব্রাহিম-খী পরাজিত হইলেন। যে স্থানে এই ভীষণ যুদ্ধ হইয়াছিল-আজও তাহা সংগ্রামপুর” নামে সাধারণে পরিচিত। প্রতাপ, মোগলসৈন্যকে মাতলার যুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করিয়া, রায়গড়ের সাহায্যার্থে, প্রচুর সেনা প্রেরণ করিলেন। এই যুদ্ধের পরিণামে, নানাবিধ বিজয়লব্ধ পদার্থ লইয়া, প্রতাপাদিত সেনাপতিগণ-সহ যশোরে ফিরিয়া আসিলেন এবং এই সমর-বিজয় সংবা চারিদিকে বিঘোষিত করিবার জন্য, মহা-সমারোহে যশোরেশ্বরীর পুঙ্গ ব্রাহ্মণ-ভোজন, দরিদ্রকে দান প্রভৃতি পুণ্যকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান হইল । ক্রমাগতঃ উপযুপিরি কয়েকট যুদ্ধে বিজয়লাভে সাহসী হইয়া, মহারাজ প্রতাপাদিত্য পরিশেষে মোগল সাম্রাজ্য আক্রমণের সংকল্প করিলেন । এ উদেশ্ব কার্য্যে পরিণত করিবার পূৰ্ব্বে, তিনি স্বরাজ্য শাসন-সম্বন্ধে কতকগুলি নূতন ব্যবস্থা করেন। দূরদেশে যুদ্ধকার্য্যে ব্যস্ত থাকিবার সময় যাহাতে রাজ্যের আভ্যন্তরিণ শৃঙ্খলার কোন বিপৰ্য্যয় না ঘটে, তজনা তিনি র্তাহার নিকট আত্মীয় ভবানীদাস ও লক্ষ্মীকাস্ত নামক এক বিশ্বস্ত ব্রাহ্মণকে, রাজস্ব ও শাসন-বিভাগের প্রধান কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিলেন। প্রতাপ উপযুক্ত পাত্রেই এই দায়িত্ব-ভারার্পণ করিয়াছিলেন। এই দুইজন কৰ্ম্মচারী তাহার অবর্তমানে, অতি দক্ষতার সহিত রাজকাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া, প্রজা সাধারণের প্রীতি-ভাজন হয়েন । এই লক্ষ্মীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় সম্বন্ধে, আমাদের অনেক কথা বলিবার আছে। প্রতাপাদিত্যের পরাভবের পর, মহারাজ মানসিংহ–তিনজন “মজুমদারের মধ্যে বঙ্গরাজ্য বিভাগ করিয়া দেন। “তিন মজুমদারের মধ্যে বাঙ্গালাভাগ” বলিয়া একটা প্রবাদ আজও এ অঞ্চলে প্রচলিত আছে। “মজুমদার” বাদসাহী আমলের উপাধি, বঙ্গের করসংগ্রাহকগণ, সরকার হইতে এই উপাধি—পাইতেন। এই তিন মজুমদারের নাম, লক্ষ্মীকান্ত,