পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । & Tএই ভীষণ পরাজয় সংবাদ, যখন দিল্লীশ্বর আকবর-সাহের নিকট পৌছিল, তখন তিনি কিংকর্তৰ্যবিমূঢ় হইয়া পড়িলেন। তাহার সভাসদ— বিশেষ গণনীয় ভাবিংশতি জন আমীরকে, তিনি অসংখ্য সৈন্ত-সমেত প্রতাপের দমনের জন্ত বঙ্গদেশে প্রেরণ করিলেন । এই নব-নিযুক্ত, জাবিংশতি আমীর-সেনাপতিগণ, তাহাদের গন্তব্য পথের মধ্যে কোন রূপ বাধা প্রাপ্ত না হইয়া, নিঃশঙ্কচিত্তে যশোর-প্রান্ত-বাহিনী যমুনা-তীরে সৈন্যসমেত উপস্থিত হইলেন । এই দীর্থপথ অতিক্রম করিবার সময়, তাহারা প্রতাপ-সৈন্ত হইতে কোনরূপ বাধা প্রাপ্ত হন নাই । কাজেই সকলেই বিশ্বস্ত চিত্তে, একেবারে রাজধানীর নিকটবর্তী হইলেন । এখন প্রতাপকে ধরিতে পারিলেই তাহদের কার্য্য সিদ্ধি হয়—এই ভাবিস্কা তাহারা অসি ও পৃথল সহ, প্রতাপের নিকট একজন দূত-প্রেরণ করিলেন। এই অসি ও পৃথল প্রেরণের অর্থ এই—“হয় বগুত স্বীকার কর—ম হয় যুদ্ধাৰে অগ্রসর হও।” প্রতাপ, মোগল দূতের নিকট হইতে অসিগ্রহণ করিয়া জানাইলেন—“যে তিনি বহুত স্বীকারে প্রস্তুত নহেন, কিন্তু যুদ্ধার্থে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।” দূরদর্শী প্রতাপ, এই অতর্কিত বিপদে চিস্তিত হইয়া, এক গুপ্ত মন্ত্রশাসভা আহান করিলেন । মহাবীর শঙ্কর বলিলেন—“বর্ষাকাল উপস্থিত হইয়াছে । এ সময়ে শত্রুনাশে আমাদের বেশী পরিশ্রম করিতে হইবে না। মুন্দরবন বিভাগের চতুৰ্দ্দিকস্থ জলাভূমি, বর্ষায় কিরূপ ভীষণ ভাব ধারণ করে, তাহ সকলেই জানেন । শত্রুপক্ষের নৌকাগুলি নষ্ট করিয়া দিলেই, আমাদের অৰ্দ্ধেক কাজ হইয়া যাইবে । তারপর শমন-রাজ প্রেরিত, বর্ষীর ভীষণ রোগ সমূহ একবার মোগল-শিবিরে প্রবেশ করিলে, শক্ৰক্ষয় কাৰ্য্য আরও অগ্রসর হইবে । আমার মতে খণ্ড-মুদ্ধে, মোগলসেনাকে চারিদিক হইতে ব্যতিব্যস্ত করিলেই আমরা জয়ী হইব ।” শঙ্করের এই মত সকলেই যুক্তিযুক্ত বলিয়া গ্রহণ করায়, প্রতাপ তাহার নৌ-সেনাপতি মহাবীৰ্য্যবান পটুগীজ রডাকে, শক্রর নৌকাগুলি বিপৰ্য্যস্ত করিবার জন্য আদেশ দিলেন। রঘু ও মুখা নামক দুইজন ৰীৱ, স্থলপথে সৈন্ত লইয়া গিয়া মোগলদের রসদ-সংগ্রহ কধ্যে বাধা প্রদান করিতে লাগিল। স্বৰ্য্যকাস্ত, শক্ৰ পক্ষের গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ ও খণ্ড-যুদ্ধে ব্যাপৃত রছিলেন। মোগলদের রসদবাহী নৌকা-সমূহ হিন্দুদের, হাতে পড়িতে লাগিল । দেশব্যাপী সমরানল প্রজ্জ্বলিত হইল । কোন পক্ষেরই জয়পরাজয় নিৰ্দ্ধারিত হইল না। ’ 始