পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৯৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె&e কলিকাতা সেকালের ও একালের । ১৭৪৬ অব্দে রাজা ब्रामजीवन দিল্লীর সম্রাট, বাহাদুর-সাহের निरुक्ने হইতে, রাজাবাহাদুর উপাধির সনন্দ ও অসংখ্য খিলাত লাভ করেন এবং রাজচ্ছত্র, দণ্ড, জয়ঢঙ্কা প্রভৃতি ব্যবহার করিবার অনুমতি প্রাপ্ত হন। রাজ রামজীবন এবং রাজা রঘুনন্দন উভয়েই র্তাহাদের জমিদারীর ' রক্ষণাবেক্ষণের জন্য.সৈন্ত রাখিয়াছিলেন এবং তাহাদের জমীদারী মধ্যস্থ দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয়বিধ শাসনভারই স্বহস্তে লইয়াছিলেন। এক কথায় তাহারা তখন বঙ্গদেশের একাংশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ছিলেন। র্তাহারা উভয়েই নিঃসস্তান অবস্থায় পরলোক গমন করেন । রাজ রামজীবনের পত্নী; রামকান্ত রায়কে পোষ্যপুত্ররূপে গ্রহণ করেন। রাজা রামকান্তও মৃত্যুকালে নিঃসস্তান ছিলেন। তাহার দুই শিশু পুত্র র্তাহার জীবিতকালেই দেহত্যাগ করে । এই রামকাস্তের পত্নীই বঙ্গবিশ্রত মহারাণী ভবানী। মহারাণী ভবানী, উাহার স্বামীর মৃত্যুর পর ৭৮ বৎসর জীবিত ছিলেন। তাহার অপূৰ্ব্ব কীৰ্ত্তিকাহিনী কেবল বাঙ্গালীয় নহে, ভারতের অধিকাংশ স্থানেই আবালবৃদ্ধ বনিতার পরিচিত। কথিত আছে, এই প্রাতঃস্মরণীয়া, বঙ্গমহিলা পুণ্যকার্ধ্যে এবং দানে, পঞ্চাশ কোটীরও উপর টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন। র্তাহার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামকৃষ্ণ, সাবালক হইয়াসমস্ত জমিদারীর পরিচালন ভার স্বহস্তে গ্রহণ করেন এবং সম্রাট শাহ-আলমের নিকট হইতে “মহারাজাধিরাজ-পৃথ্বীপতি-বাহাদুর" ” উপাধিপ্রাপ্ত হন। লর্ড কর্ণওয়ালিসের আমলে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময়ে, স্বকীয় জমিদারীর অধীনস্থ তালুকদারগণের ব্যবহারে বাঁতরাগ হইয়া, মহারাজ রামকৃষ্ণ জমিদারীকার্য্যে অমনোযোগী হইয় পড়েন এবং সমস্ত মনোযোগ ধর্ণাঙ্গনে উৎসর্গ করেন। এই অবসরে তাহার তৃত্যগণের মধ্যে অনেকেই তাহার সর্বনাশ সাধন করিয়া স্ব স্ব ভাগ্যগঠনে সচেষ্ট হন। তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ জমিদারী সংস্থাপনও করিয়াছিলেন। এই শেষোক্তগণের মধ্যে নড়াল রাজবংশের কালীশঙ্কর রায় এবং দীঘাপতিয়া রাজবংশের দয়ারাম রায়ই প্রধান। ইহারা উভয়েই নাটাের-রাজবংশের দেওয়ান ছিলেন। - - রাজা রামকৃষ্ণের এই ঔদাসীন্ত দেখিয়া, মহারাণী ভবানী পুনরায় জমিদারীকার্য্য স্বহস্তে গ্রহণ করিতে চেষ্টা করেন, কিন্তু নবাব সরকার উiছার প্রার্থনায় কর্ণপাত করেন নাই। এই সময়েই র্তাহার সুবিশাল