পাতা:কলিকুতূহলনামুক গ্রন্থ.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১০. কালকুতুহল । তাহার নিবৃত্তিকে মোক্ষ বলে, অতএব বিজ্ঞ ব্যক্তির মনের বিষয় প্রবণতা নিবারণার্থে বেদোক্ত নিষ্কাম কৰ্ম্ম ও ঈশ্বরোপাসনা করিয়া থাকেন। মনুষ্য সকলের মনে যাদৃশ চিন্তার গাঢ়তা জন্মে তাহারা তাদৃশ সংস্কার প্রাপ্ত হইয়া তদ্বার তদনুৰূপে ফল লাভ করিতে পারে, ইহাতে অবাস্তর প্রমাণ এইযে ষে ব্যক্তির বাল্যকালাবধি মনোমধ্যে ভুক্ত আছে এইৰূপ সংস্কার থাকে, সেই ব্যক্তি সময়বিশেষে ক্ষুন্ধকাষ্ঠের স্তম্ভে আপন মনঃস্থিত ভূত কল্পনা করিয়া কম্পিত ভূতের কার্য্যাদি প্রত্যক্ষ করত ভয়ে প্রাণত্যাগও করিতে পারে। এস্থলে যদিও কাষ্ঠস্তম্ভ যথার্থ ভূত না হউক তথাচ তাহার মনের ভাব যথার্থ বটে এইহেতু তাছার ভরে ভীরুবাক্তির যেৰূপ মৃত্যুলাভ হইবার সম্ভব সেইৰূপ কোন দেবতাকে যদি যথার্থ ঈশ্বরও না বল তথাচ তাহার প্রতি ঈশ্বর ভাবন কৰিলে অবশ্যই চিত্তবৃত্তি শোধিত হইয়া সংসারমোক্ষ হইবে, ইহা সুদৃঢ় প্রতীত হইতেছে । বস্তুতঃ দেৱতা সকলও ঈশ্বরহইতে ভিন্ন নহেন, ষেহেতু বেদেতে সমস্ত বস্তুকেই ঈ আর হইতে অভিন্ন বলেন, অতএব প্রতিম। পূজা করিলেও আমাদিগের মোক্ষ হইবার ব্যাঘাত নাই। আমরা তোমাদিগকে বিনয়পূৰ্ব্বক কহি তোমর অসৎপথ পরিত্যাগপুৰ্ব্বক পিত। পিতামহ ষে পথে প্রস্থিত হইয়াছেন সেই পথে গমন কর ।