পাতা:কল্কি পুরাণ (নীলকান্ত গোস্বামী).pdf/১৬৩

& }( ది t কলঙ্ক পুরাণ । বিহার এবং পুত্রপৌত্ৰাদির উৎপত্তি কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। তৎপরে দেবগন্ধৰ্ব্বাদি সকলো শম্ভলে আগমন ও বিষ্ণুর বৈকুণ্ঠগমন কীৰ্ত্তন করা হইয়াছে। পরিশেষে শুল্কখা সমাপন করিয়া শুকের প্রস্থান ও মুনিগণোক্ত গঙ্গাস্তব কথিত হইয়াছে। এইরূপে পরমানন্দকর, পঞ্চলক্ষণ ক্রান্ত পুরাণ সমাপ্ত হইল । এই শ্রুতিমধুর কল্কিপুরাণ সমুদা শাস্ত্রের সারস্বরূপ ও চতুবর্গ ফলপ্রদ। প্রলয়ান্তে ভগবান হররমুখ হইতে লোকবিশ্রুত এই পুরাণ নিঃস্থত হয় ; পরে দ্বিজৰূপী বেদব্যাস ইছ পৃথিবীতে প্রচার করেন। ইহাতে কলকিরূপী ভগবান বিষ্ণুর অলৌকিক প্রভাব বর্ণিত হইয়াছে। যিনি সাধুসমাজে, তীর্থস্থলে অথবা পুণ্যাশ্রমে ভক্তিপূৰ্ব্বক এই বিষ্ণু ভাবপূর্ণ বিমল পুরাণ পাঠ বা শ্রবণ করেন এবং তাছার পর গুগা, অশ্ব, গজ, সুবর্ণ, বস্ত্র ও অলঙ্কার প্রদানপুৰ্ব্বক সাদরে ব্রাহ্মণগণের অচ্চ না করেন, তিনি নিশ্চয়ই মুক্ত হইয়া থাকেন । বিধানাচুসারে এই পুরাণ শ্রবণ করিলে ব্রাহ্মণগণ বেদ-পারগ চয়েন, ক্ষত্রিয়গুণ ভূপতি হয়েন, বৈশ্যগণ ধনবান হয়েন এবং শূদ্রগণ মহৰ লাভ করে। এই পুরাণ পাঠ বা শ্রবণ করিলে পুত্রার্থীর পুত্র, ধনার্থীর કરું এবং বিদ্যার্থীরবিদ্যালাভ হইয়া থাকে। লোমহর্ষণভনয় মহর্ষিগণকে ভক্তিপূৰ্ব্বক এই আখ্যান প্রবুল করাইয়া তীর্থওজমণ মানসে প্রস্থান করিলেন । মহর্ষি শৌনক ও অন্যান্য মুনিগণ স্থতকে যথোচিত সাধুবাদ প্রদান করিলেন এবং ঐ পুণ্যাশ্রমে হরির ধ্যান ও যোগবলে ব্রহ্ম সাক্ষাৎকার লাভ করিলেন । • সর্বপুরাণঙ্গ, ব্রহশীল; লোমহর্ষণ-তনয় মুনিবর ব্যাস-শষ্যকে নমস্কার । পুনঃপুন সমুদায় শাস্ত্র আলোচনার পর বিচার করিয়া ইহাই স্থির সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, সৰ্ব্বদাই ভগবান নারায়ণের ধান