পাতা:কল্কি পুরাণ (নীলকান্ত গোস্বামী).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। স্থত কহিলেন, অনন্তর প্রদীপ্ত দিবাকরের ন্যায় প্রতাপ-সমম্বিত ধৰ্ম্ময়। ভগবান কল কি সভামধ্যে নরপতি বিশাখযুপের নিকট বাহ্মণগণের মঙ্গল ও প্রীতিজনক ধৰ্ম্মের বিষয় বলিতে আরম্ভ করিলেন । কল কি কহিলেপ, যখন মহাপ্রলয় হইবে ভখন ভগবান ব্রহ্মাও বিলীন হইবেন ; তখন কেবল আমি বিদ্যমান থাকিব ও আমার্তেই সমস্ত জগৎ সঙ্গত হইয়া থাকিবে । পূৰ্ব্বে জগতের কিছুই ছিল না কেবল আমিই বিদ্যমান ছিলাম,এই পৃথিবীস্ত সমস্ত পদার্থই আমার প্রভাবে সমুৎপন্ন হইয়াছে। সমুদায় জগৎ যখন নিদ্রাবস্থায় কলক্ষেপ করিতেছিল, যখন একমাত্র পরমাত্মা"ভন্ন আর কিছুই বর্তমান ছিলনা, সেই মহানিশার শেষভাগে স্থষ্টিক্রিয়া সাধনের নিমিত্ত আমি সহস্রশির, সহস্ৰলোচন ও সহস্রচরণ-সম্পন্ন বিরাটরূপে-আবিভূত হইয়াছিলাম । তৎকালে সেই বিরাটমুৰ্বি হইতে বেদমুখ মহাপ্রভাবশালী ভগবান ব্রহ্মা সমুদ্ভূত হইলেন। ব্রহ্মানামে বিখ্যাত ঐ সৰ্ব্বঙ্গ পুরুষ আমার বাক্যরূপ বেদানুসারে, অামার পুরুষোপধিক অংশ হইতে, মায়াপ্রকৃতি দ্বারা, আমার কালরূপ অংশের সংযোগে জীবগণকে স্বষ্টি করিতে লাগিলেন। তিনি সৰ্ব্বাগ্রে প্রজাপতিগণ, মম্বাদি লোক সকল ও দেবগণকে স্বষ্টি করিলেন । ইহঁরা আমার অংশসম্ভত হইলেও সত্ত্ব, রজ ও তমোগুণসম্পন্ন