পাতা:কল্কি পুরাণ (নীলকান্ত গোস্বামী).pdf/৩৬

কলিঙ্ক পুরাণ্ড । २७ ।। করিলেন। র্তাহারা সভামধ্যে প্রবৃেশ পুৰ্ব্বক যথাবিধানে সংস্কৃত হইয় আপন আপন নির্দিষ্ট আসনে উপবেশন করিলেন । বিচিত্র মাল্য, ও বিচিত্র বসনধারী, সুখোচিত, বিলাসী, স্পৃচ্ছনীয়রূপ · রাজগণ উপবেশন করিলে তাহাদিগের মনোরঞ্জনের निगिउ शृङগীত আরম্ভ হইল। তাছাতে ডাহারা অত্যন্ত পুলকিত হইলেন , পরে সিংহলেশ্বর সেই রাজনগণকে স্বখালীন অৰলোকন করিয়া বরবর্ণিনী, গৌরী, চন্দ্ৰাননা, শ্যাম, যুক্তাহার-বিভূষিতা, সৰ্ব্বালঙ্কারভূষিতা, রূপলাবণ্যবতী স্বীয় তনয়াকে বেত্ৰহস্ত দেীবারিকগণু কর্তৃক স্বরক্ষিত অন্তঃপুর হইতে আনয়ন করিবার অনুমতি প্রদান করিলেন। কন্যা অন্তঃপুর হইতে বহির্গত হইলেন । শত সহঅ সখীগণ র্তাহারে বেষ্টন করিয়া যাইতে লাগিল। দাসীগণ র্তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতে লাগিল । বন্দীগণ তাছার অগ্রে,অগ্ৰে চলিল। হে বিভো! তৎকালে সেই কন্যাকে অবলোকন করিয়া আমি অনুমান করিলাম, সেই কন্যা মুৰ্ত্তিমতী মোহজননী মায়া অথবা কন্দপমোহিনী রতিই ভুবনতলে অবতীর্থ হইয়াছেন । দেব ! আমি ত্ৰিভুবনের সকল স্থানেই ভ্রমণ করিয়াছি, কিন্তু তাদৃশ রূপলাবণ্য কোন স্থানেই দর্শন করি নাই। সেই কন্যা ক্রমে সভামণ্ডপে আসিয়া উপনীত হইলেন । মুধুর ও কিঙ্কণীর জনমোহন মধুর শব্দে সভা পরিপুর্ণ হইয়া উঠিল । সেই মরলগামিনী রাজনন্দিনী করে রত্নমালা গ্রহণ পুৰ্ব্বক সভামণ্ডলে প্রবেশ করিয়া সমাগত রাজগণের কুলশীল ও গুণের বিষয় শ্রবণ ও মনোহর কটাক্ষ । নিক্ষেপ পুৰ্ব্বক, তাছাদিগকে দর্শন করিতে লাগিলেন । তাছার কর্ণশোভন কুণ্ডল দুলিতে লাগিল তাছার চূর্ণ কুন্তল নৃত্যু করিতে লাগিল ; তাহাতে গণ্ডদেশ অধিকতর সুশোভিত হইল। ঈষৎ