পাতা:কল্কি পুরাণ (নীলকান্ত গোস্বামী).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s' কলিক পুরাণ । 3১ আত্মাকে বিষ্ণুময় চিন্তা করিয়া হৃদিস্থিত সেই বিষ্ণুকে সংকল্পিত ...আসনে সংস্থাপন করিবেন। পরে মুলমন্ত্র উচ্চারণপূর্বক পাদ্য, অর্ঘ্য, আচমনীয়, স্নানীয়, বসন, ভূষণপ্রভৃতি উপচারে' অচ্চন । করিয়া হৃদয়পদ্ম-মধ্যগৰ্ত, প্রফুল্ল-বদন, ভক্তের অভীষ্টফল-দাতা সেই ভগবান বিষ্ণুকে চরণ হইতে কেশান্তপৰ্য্যন্ত ধ্যান করিবেন। • পরে “ও নমো নারায়ণায় স্বাস্থা” এই মন্ত্র উচ্চারণপুৰ্ব্বক স্তুতি পাঠ করিবেন । যোগসিদ্ধ পণ্ডিতগণ র্যাহাকে নিরন্তর চিন্তা করিয়া থাকেন,• যিনি স্ত্রীর আলয়স্বরূপ, র্যাহার ভক্ত ভুঙ্গগণ তুলসীদ্বারা পরিব্যাপ্ত রছিয়াছে, যাহার রক্তবর্ণ নখ-সম্পন্ন অঙ্গ লিপত্র দ্বারা গঙ্গাজল, চিত্রিত হইয়াছে, আমি সেই বিষ্ণুপাদপদ্মে আশ্রয় লইলাম। ভগবান বিষ্ণুর যে চরণকমলৱন্ত গ্রথিত মণিসমূহদ্বারা সুশোভিত রহিয়াছে, যে চরণে রাজহংসের ন্যায় শব্দায়মান স্থপুরযুগল শক্তি হইতেছে, যাহাতে সূচঞ্চল পীত বসনাঞ্চল লম্বমান হইয়া প্রচলিত । পতাকার নায় বিরাজমান হইয়াছে এবং যাহতে "বর্ণময় ত্রিবক্তৃ, বলয় শোভা পই তেছে, আমি সেই চরণরূপ কমলরস্ত স্মরণ করি । ভগবান নারায়ণের যে জঘনযুগল নিতানন্দন গরুড়ের গলস্থিত নীলকান্ত মণিরু ন্যায় শোভাসম্পন্ন, যাহার, মধ্যদেশে ਕੋ মণির ন্যায় গরুড়ের চঞ্চদ্বয় বিরাজিত রহিমাছে, যাহার নিম্নে আরক্ত চরণযুগল শোভা পাইতেছে, যাহা ভক্তগণের লোচনানন্দজনন, আমি সেই জঘনদ্বয় স্মরণ করি। উৎসবকালে স্কন্ধাপিত বিদ্যুৎপ্রভ পীত-বসন পতিত হওয়াতে যাহা বিচিত্নবর্ণ হয়, চঞ্চল গরুড়মুখ-বিনিগত সামগানে যাহার মহিমা প্রকাশিত হইয়া থাকে, জগৎপতি বিষ্ণুর সেই পীবর জানুযুগল আমি স্মরণ করি ।