দৈহিক উন্নতি । సి আমাদিগের স্বন্ধে কোন গুরুতর কার্য্যভার ন্যস্ত করিতে ইচ্ছা ও বিশ্বাস করেন না। ইহাতে দেশের একটা মহৎ অমঙ্গল ঘটতেছে অন্য কোন মনিটের প্রতীকারার্থ দি বঙ্গনেলীয়ের দৈহিক উন্নতুি আবশ্যকতা বোধ না করেন, অন্ততঃ শরীর সুস্থ রাখিবার নিমিত্তও দৈহিক উন্নতি সাধন চেষ্টা একান্ত কর্তব্য। কেহই দুৰ্ব্বলকে পীড়ন করিতে ও ইঞ্চলের উপরে অত্যাগর করিতে বিমুখ হয় না। ম্যালেরিয়া জর দুৰ্ব্বল পাইয়া আমাদিগকে চাপিয়া ধরিয়াছে এবং ঘোর অত্যাচার করিতেছে ; কিন্তু আমাদের শরীর াদি বলিষ্ঠ হইত, ম্যালেরিয়া কখনই সহজে আমাদিগকে আক্রমণ করিতে পারিত না। শ্রুতি স্থতি পুরাণাদি সকল গ্রন্থেই আত্মরক্ষার ভূয়োতু উপদশ আছে । শ্রুতি কহিতেছেন “ আত্মানং সততং গোপায়ীত “ স্মৃতি বলেন “ আত্মানং সততং রক্ষেৎ দারৈহ্মপি ধনৈরপি । ” 置羚 শ্রীতির অর্থ এই আত্মাকে সতত রক্ষণ করিবে, স্মৃতি অধিকতর সাহস প্রকাশ করিয়াছেন । স্মৃতির মতে ধন ত সামান্য, স্ত্রী পরিত্যাগ করিয়াও rদি আত্মরক্ষা করিতে হয়, তাহাও করিবে । আমরা উপরে ব্যায়াম চর্চার গুণবর্ণন করিয়াছি । বায়াম চর্চাই দৈহিক উন্নতির প্রধান মূল। এই ব্যায়াম চর্চ না থাকাতে বঙ্গবাদিদিগের শরীরগত অতিশয় বৈষম্য ঘটিয়াছে। কথায় বলে “ তালপাতার সিপাই ” বঙ্গদেশের অনেকেই সেই তালপাতার সিপাই। অনুেকে আবার স্থল দেহ য়া জড়ভরত হইয়া পড়েন। তাহারা কোন দুরূহ কাৰ্য্য সম্পন্ন করবেন , তাহাদিগের নিত্যকাৰ্য্য সম্পাদন করাই কঠিন হইয়া উঠে,; কিন্তু যদি iায়াম চর্চা থাকে, শরীরের স্থৌল্য ও কার্শা দূরগত হইয়া সাধারণ্যে সক শরীর স্বায়ত্ত ও সবল হইয়া উঠে। ব্যায়াম নিবন্ধন শরীরের যে ভাব "পীরপ্রসক্ত রাজা দুষ্মন্তের শরীর বর্ণন শ্রবণ করলেই পাঠক মদচ্ছেদকৃশোদরং লঘু ভবতু্যুৎসাহযোগ্যং বপুঃ । ইঞ্জিম রাজা দুষ্মস্তের মেদ কমিয়া গিয়া শরীর লঘু রুশ ও উৎ
- ব্যাখাম চর্চা পূৰ্ব্বকার রাজাদিগের নিত্য কর্তব্যকৰ্ম্ম ছিল। কাদম্বর গ্রন্থ পাঠ করিয়া জামিতে পারা যায়, রাজার রাজকর্তব্য ব্যবহার দর্শন করিয়া ব্যায়াম না করিয়া স্নান ভোজনাদি করিতেন না।
( २ )