১২ কল্পদ্রুম | নিকটে দায়ী হইতে হইত। বৎস! বোধ হয় তুমি এখন বুঝিতে পারিলে এ বিষয়ে আমার কিছুই কৃপা নাই। আমি অবশ্য কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মেরই অনুষ্ঠান করিয়াছি। এই কথা কহিয়া সন্ন্যাসী বিরত হইলেন। আমি তাহার এই খ্রকার বাকা শুনিয়া অতিশয় চমৎকৃত ও অপ্রতিভ হইলাম। আমার বাক শক্তি যেন অপহৃত হইল। আমি এক দৃষ্টিতে কিয়ৎ ক্ষণ র্তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম ; মনে মনে ভাবিলাম এ প্রকার সাধু সদাশয় নিস্পৃহ লোক জগতে অতি বিরল। তাহার পর আমি অতি কষ্টে বিনীতভাবে কহিলাম, পিতঃ ! আপনি যে সকল কথা কহিলেন, ইহার কিছুই মিথ্যা নয় ; কিন্তু জগদীশ্বর মানুষকে যে কৃতজ্ঞতা-বৃত্তি প্রদান করি। য়াছেন; তাহ উপকার লাভ মাত্র উপকারকারীর প্রতি উচ্ছলিত হইয় উঠে, দূরতর কার্য্যকারণ ভাব পৰ্য্যালোচনার সুবসর পায় না। ঈশ্বরের কৃপা ব্যতিরেকে কিছু হয় ন সত্য কথা বটে ; কিন্তু আপনি যদি আমার প্রতি পুত্রবৎ স্নেহ প্রদর্শন করিয়া আমার আরোগ্য সম্পাদনের চেষ্টা না করিতেন, আমার জীবনলাভ দুর্ঘট হইত সন্দেহ নাই অতএব আমার মন যে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ তারসে আদ্র হইয়াছে, তাহ অনৈসর্গিক হয় नाशे । সন্ন্যাসী আমার কথা শেষ হইতে না হইতে সম্মিতবদনে কহিলেন, বংস ! বল তোমার ক্ষুধার কি প্রকার উদ্রেক হইয়াছে ? শরীর ক্রমে মুস্থ বোধ হইতেছে কি না? আমি উত্তর দান দ্বারা উভয়েরই সমর্থন করিলাম। তিনি আমার পথ্যের বাবুস্থ করিয়া দিয়া চলিয়া গেলেন । ক্রমে আমার বলাধান হইতে লাগিল, আমি শয়নতল পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক ক্রমে দুই চারি পা করিয়া ইতস্ততঃ বিচরণ করিতে আরম্ভ করিলাম, দেখিলাম, গুহার মধ্যে মনুষ্যের বাসস্থচক অনেক দ্রব্য সামগ্ৰী পড়িয়া আছে এবং গুহাটী রাজবাটীর ন্যায় ভিন্ন ভিন্ন মহলে বিভক্ত করা হইয়tছে। আমি । দর্শনোৎসুক হইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলাম। কিয়ৎদুর গমন করিলে পর এক ব্যক্তি কর্কশ-স্বরে আমাকে বারণ করিল, তুমি আর অগ্রসর হইও না । অগ্রে যদি তুমি দ্বিতীয় পদ ক্ষেপ কর, তোমার বিপদ ঘটিবে। আমি থমকিয়৷ দাড়াইলাম এবং কে আমাকে নিষেধ করিল, তাহার দর্শনার্থ ইতস্ততঃ দৃষ্টক্ষেপ করিলাম ; কাহাকেই দেখিতে পাইলাম না । কিন্তু আর আগিয় যাইতে সাহস হইল না। তথাপি আমি কৌতুহলী ক্রান্ত হইয়া দুই তিন বার
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।