>とb" কল্পদ্রুম | আমরা যদি ভারতের পূৰ্ব্বাপর ধৰ্ম্মশাস্ত্র গুলির পর্য্যালোচনা করি, তাহ হইলে স্পষ্টই বুঝতে পারা যায় যে, অর্য্যের তাহাদের ধৰ্ম্মকে স্বার্থশূন্যপ্রায় করিয়া পুনরায় পূৰ্ব্ব হইতেও অধিক পরিমাণে স্বার্থ দোষে দূষিত করিয়াছেন। ভারতীয় ধৰ্ম্ম শাস্ত্রে যে আমরা যুক্তিরূপ রত্ন আর অযুক্তিৰূপ হলাহল একত্র মিশ্রিত দেখিতে পাই,তাহাই এ কথা প্রমাণ করিয়া দিতেছে। আর্য্যেরা যতদিন স্বর্থ ত্যাগের জন্য লীলায়িত ছিলেন, তাবৎ কাল তঁহিদের উন্নতির কলেবরও উত্তরাত্তর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছিল। তাহার পর যেদিন আবার তাহাদের সেই লুপ্ত প্রায় অযথা স্বার্থপরতা ক্রমশ: বাড়িতে লাগিল, সেই দিন হইতে হতভাগ্য ভারতও পুনরায় হরিশ্চন্দ্র রাজার ন্যায় উন্নতিস্বৰ্গ হইতে ক্রম ক্রমে নামিতে লাগিল, এবং নামিতে নামিতে এক্ষণে পাতালপুরে উপনীত হইয়াছে। যদিও রাজনীতি ইতিহাসের অক্সা, তথাপি কেবল রাজনীতিই যে ইতিহাসে জানা যায় কিম্বা ইতিহাস যে কেবল দেশকেই স্বাধীন রাখে এমন ও নহে, উল্লাহ ধৰ্ম্মনীতিকে ও প্রচ্ছন্ন রাখিবার এক প্রধান সহায় । উহার অস্তিত্বে সহস কার সাধ্য দে ধৰ্ম্মকে পাপকলঙ্কে কলঙ্কিত করে ? যখন কোন দেশের ধৰ্ম্ম প্রভৃতির উত্তরো স্তুর উন্নতি ও অবনতি হইতে থাকে, তখনই ইতিহাসও তাহার সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষিস্বরূপ হইয়া জন্মগ্রহণ করিতে থাকে। ইতিহাস স্বদেশ এবং স্বপৰ্ম্মের ভীষণ প্রহরিস্বরূপ, উহার জীবিতে ও মরণে যে, দেশের কত প্রকার মঙ্গল এবং অমঙ্গল হইতে পারে, তাহ কোন মতেই বলিয়া শেষ করা য য় না। অতএব যখন পূৰ্ব্ববর্তী আর্যাদের লুপ্তপ্রায় স্বাধপূর্গ আবার ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করি। পরবর্গ মাৰ্যদিগের সদকে অধিকার করিয়াছিল, তখন ইতিহাস ও যে তাহাদের স্বার্থসিদ্ধির এক প্রধান শক্র হইয়াছিল, তাহার কিছুমাত্র সংশয় নাই । ধৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মশীদকে স্বার্থপরতার দুষিত করিতে একান্ত ব্যস্ত হইয়। র্তাহারা দেখিলেন, পৃথিবী যেমন সকল পদার্থের আশ্রয় ; ইতিহাস ও তেমনি সকল শাস্ত্রের আশ্রয় ; উঠা সকলকেই সকল শাস্ত্রের কথা বলিয়া দেয়, এমত অবস্থায় সৰ্ব্বাগ্রে ইতিtলকে বিনাশ করিতে না পরিলে কখনই স্বার্থশূন্যপ্রায় "হিন্দুধৰ্ম্মকে পুনরার স্বর্থপঙ্কে পঙ্কিল করিতে কেহ পারবেন না, এই ভাবির তাহারা ইতিহাসকে সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করিতে সঙ্কল্প করিলেন ; এবং তাহারই আরম্ভ করিয়া কেবল আপনাদের স্বার্থ যাহাতে চিরকালের জন্য স্থায়ী হয়, তদ্রুপ
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।