| কল্পদ্রুম - "לף כי যোগের সমস্ত স্বত্র কল্পনিক এবং ভৌতিক প্রলাপমাত্র। র্যাহার এপ্রকার আশঙ্কা করেন, তাহদের প্রতি দোধারোপ করা যায় না । যত প্রকার বিদ্যা আছে, যোগাভ্যাসের মত কিছুই কঠিন নয় । ইহার সমস্ত নিয়ম বড় উৎকট । মানুষের এ শরীরে সে সকল নিয়ম কখন যে সাধিত হইবে, পতঞ্জলি প্রভৃতি ঋষিদিগের ব্যবস্থা পাঠ করিলে কোন ক্রমে সেরূপ প্রতীতি জন্মে না । এই জন্য যোগিনিঃগর মধ্যে অতি অল্প ব্যক্তিই যোগের অগ্ৰহত দুর্গম পথ অতিক্রম করিয়া পরম পদ লাভ করতে সমর্থ হন। মহাভারতের শাস্তিপৰ্ব্বেও যোগমার্গ নিতান্ত দুরারোহ বলিয়। স্বীকৃত হইয়াছে। ভীষ্ম যুধিষ্টিরকে কহিতেছেন– যোগমার্গে বিবিধ বিঘ্ন আছে, তন্নিবন্ধন সমুদায় যোগী উহা অতিক্রম করতে পারেন না। বরং মুশাণিত ক্ষুরধার অবলম্বন পূৰ্ব্বক অব স্থান করা যায় ; কিন্তু যোগধারণ অবলম্বন করিয়া অবস্থান করা নিতান্ত দুঃসাধ্য ” ইত্যাদি । মহামুনি ব্যাসের সময় হেম্যাগাদি, তপস্যা ও যোগসাধন প্রভৃতি দৈবানুষ্ঠানে সৎ ব্রাহ্মণদিগের দৈনন্দিন চর্চ ছিল। তদানীন্তন লোকেও যখন যোগকে এভ কঠিন জ্ঞান করিয়া গিয়ছেন, তখন আমাদের আর কথা কি । যোগসাধন এত যে দুনি বহ, তথাপি সংসার-সাগর-তিতীযু সাধুগণ সে সকল দুৰ্ব্বিসহ ক্লেশে উপেক্ষা করিয়া তাহাতে প্রবৃত্ত হষ্টয় থাকেন। পরম,র্থ এদেশী দুদিগের প্রাণ ও জীবন । পরমর্থ-সাধন তাহীদের স্বত:সিদ্ধ ধৰ্ম্ম । ঋত্বিদিগের প্রগাঢ় ধৰ্ম্মানুরাগ না থাকিলে তাহার কখনই যোগসাধনের প্রতি এত তৎপর ও অগ্রসর হইতেন না । যোগশাস্ত্রে যে সকল কৃচ্ছসাধন আছে, কেবল কতকগুলি অকপট যোগী ও পরমহংসকে দেখিয়া তাহ মহুষের সাধ্যায়ত্ত বলিয়া আমাদের বিশ্বাস জন্মে। কিন্তু দেই কৃচ্ছসাধনের বির হইতে উত্তীর্ণ হইয়া শতকরা কত ব্যক্তি অভীষ্ট লাভে সমর্থ হন, আমর। তাহার তালিকা দিতে পারিলাম না। কারণ, সে বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা নাই । সর্পদির চৈমন্তিক জড়তা ও অনশন প্রভৃতি অনেক অসাধারণ কাজ মনুষ্যশরীরে কপন কখন স্বভাবতঃ ঘটে। তদ্ভিয় অজ্ঞ লোকে কিছুমাত্র প্রকৃ. fততত্ব না বুঝিয়fও এমন অনেক কাজ করে, যোগের কোন কোন অঙ্গের সঙ্গে তাহার অনেক সাদৃশ্য দেখা যায়। অনুধাবনপূর্বক সেই সকল কাজ দেখিলেও যোগের প্রতি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে। অতএব তৎসম্পর্কে
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।