পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૪૨ কল্পদ্রুম | ংস হইলেও জল ও মৃত্তিকা হয়। এই রূপ একটার লয় হইয় তাহা হইতে আবার অন্যটি জন্মগ্রহণ করিতেছে, কিছুরই ধ্বংস হইতেছে না। মানবদেহ ধ্বংস হইয়। মৃত্তিকাদিতে পরিণত হয় বিজ্ঞানবাদীরা যে বলিয়া থাকেন, ইহাই হিন্দু শাস্ত্রকারদিগের বর্ণিত পঞ্চে পঞ্চ মিশান ভিন্ন আর কিছুই নহে। এইরূপে যে যে পদার্থের অবস্থান্তর হইয়া পরে মনুষ্য হইয়া থাকে, তাহাই বিজ্ঞানের মতে মনুষ্যের পূৰ্ব্বজন্ম ও সেই সময় মনুষ্যের পূর্বকাল । আর মৃত্যুর পর যে পদার্থে পরিণত হইবে, তাহাই পরকাল বা পরজন্ম। মানুষ এ জীবনে যদি কোন সৎকাৰ্য্য করিয়া যাইতে পারে, তবে আবার যদি কখন সে মনুষ্য হয় ও তাহার কাৰ্য্যের ফল ভোগ করে, সেই তাহার পূৰ্ব্বজন্মার্জিত মুকুমির ফলভোগ করা হয়। এতদ্ভিন্ন আর অধিক কিছু নাই। মহোদয় পাঠক ! এক্ষণে বিবেচনা করিয়া দেখুন, বিজ্ঞানের মতে চলিলেও হিন্দুরা যে অশীতিলক্ষ যোনি পরিভ্রমণের পর স্বলভ মনুষ্য জন্মের কথা বলিয়াছেন, ইহা কি প্রলাপবাক্য বলিয়া বোধ হয় ? ক্রমোন্নতিই জগতের নিয়ম। হিন্দুরা স্বভাবের এই মহাসত্যরূপ স্বত্র অবলম্বন করিয়া যে অশীতিলক্ষ ক্ষুদ্র হইতে ক্রমে উচ্চ যোনির কথা বলিবেন, তাহাতে আশ্চর্য্য কি ? একটী পদার্থ কত লক্ষরুপ অবস্থাস্তর প্রাপ্ত হইতে পারে, কে তাহা বলিতে সমর্থ ? তাহা কত দীর্ঘকালসাপেক্ষ । এই দীর্ঘ সময় পরিভ্রমণই কি জীবের নরকযন্ত্রণাভোগ ? যাহা হউক, হিন্দুগণ মহাভারতাদিগ্রন্থে বিশ্বাসঘাতকাদি পাপিগণের যে গর্দভাদি জন্মের কথা বলিয়াছেন, বিজ্ঞানের মতেও তাহা সত্য হইতে পারে । মনুষ্য আমিও শৃগাল কুকুর বা দেবদারু বৃক্ষ হইতে পারি। - এক্ষণে আমার কথা বলিতেছি। বলুন দেখি আমি মরিলে কি হইব, আর আমি কি ছিলাম ? আহা! যে জামি মদোন্মত্ত হইয়া ত্রিভুবনের ধনসম্পত্তি পাইলেও মুখী হই না, সেই আমি চিরনিদ্রায় শয়ন করিয়া সাৰ্দ্ধ ত্ৰিহস্ত পরিমিত ভূমি লইয়া নিৰ্ব্বিবাদে সুখে নিদ্রা যাইলে, যে দেহকে আমি এক্ষণে মুগন্ধি দ্রব্যে বিলেপিত করিতে বড় ভাল বাসি, মৃত্যুর পর আমার সেই দেহ ধূলায় পতিত হইয়া শৃগাল কুকুরের পুরীষের সহিত মাটী হইয়া ধাইলে আমার উপায় কি হইবে । তখন আমি কোথায় বাইৰ, কি কৰি, কি হইব ঈশ্বর! তুমিই একমাত্র ইহার গৃঢ়তৰ বদিতে পাৱ । বিজ্ঞানের মতে—(শুদ্ধ বিজ্ঞান কেন ?) চলিলে পরকাল, পরজন্ম অতি