বর্তমান হিন্দুসমাজের শোচনীয় অবস্থা। 文8@ २ न ८ङ्गेशौनं ििवांश् । হিন্দু কুলনারদিগের প্রতি সামাজিক অসন্তাবের আর এক নিদর্শন, কৌলীন্য বিবাহ। হিন্দুরাজা বল্লালসেন যে সম্ভাব-প্রণোদিত হইয়া শ্রেষ্ঠ বংশীয় ধৰ্ম্মপরায়ণ নবগুণান্বিত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদিগের গৌরব বৃদ্ধি ও সচ্চরিত্রতার পুরস্কার স্বরূপ কুলীন উপাধি প্রদান করিয়া নিজেই গৌরবান্বিত হইয়াছিলেন এবং রাজেচিত ঔদার্ঘ্য ও গুণগ্রাহিতার উচ্চ পরিচয় দিয়া গিয়াছেন, তাহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই।
- কুলশব্দাদীন প্রত্যয়েন কুলীনঃ” অর্থাৎ কুলশদের উত্তর ঈন প্রত্যয় করিয়া কুলীনশব্দ ব্যুৎপন্ন হইয়াছে। রাজা বল্লালসেন যে সমস্ত হিন্দু কুলচুড়ামণিকে নবগুণান্বিত দেখিয়াছিলেন, তাহাদিগকে ইদানীন্তন ইংরাজ রাজের * রাজা বাহাদুর ” ও “ রায় বাহাদুর ” ইত্যাদি উচ্চ উচ্চ উপাধি দানের ন্যায় “ কুলীন ” উপাধি দান করিয়াছিলেন। ঐ নব গুণ যথা—
- আচারোবিনয়োবিদ্যা প্রতিষ্ঠা তীর্থদর্শনং । নিষ্ঠাবৃত্তিস্তপোদানং নবধ কুললক্ষণং । ”
( কুলপ্রদীপিকা । ) অর্থাৎ যে সব মহাত্মা বিনয়ী, ব্রহ্মবিদ্যাবিদ, যশস্বী, তীর্থদর্শনখিাঁ ভাগবতীনিষ্ঠাযুক্ত, তপস্বী ও দাতা ছিলেন, তাহারাই তৎকালে কুলীন পদবীর যোগ্য পাত্র হইয়াছিলেন। এতাদৃশ সদগুণগ্রামভূষিত মহাত্মাদিগকে কে যথোচিত সম্মান ও ভক্তি শ্রদ্ধা উপহার না দিয়া থাকিতে পারে ? কাজে কাজেই তখন তাহারা সকল সভাস্থলেই সৰ্ব্বাগ্রে মাল্য চন্দন দ্বারা পূজিত হইতেন। এখনকার নিগুৰ্ণ ” কুলীন " দিগকে সমাজে মালা চন্দন দিয়া সাজাইলে মালা চন্দনের অমর্য্যাদা করা হয় । শ্রদ্ধা জোরের বস্তু নহে, উহা সহজেই উপযুক্ত পাত্রে ধাবিত হইয়া থাকে। বলিতে কি, আজ কালকার অধিকাংশ অসৎ কুলীনকে নব গুণের পরিবর্তে প্রধান নব দোষ আশ্রয় করিয়া নরবানর অবতার করিয়া তুলিয়াছে। এরাই বাস্তবিক কলির ব্ৰাহ্মণ! ঐ নৰ দোষ যথা—নীচাশয়তা, ভ্রুণহত্যাকারিতা, অধাৰ্ম্মিকতা, নিল জস্তা, বিবাদপ্রিয়তা, স্ত্রী-ঘাতকতা, নির্দয়ত, বিবাহ বণিজ্যকারিতা এবং অর্থলৈাভিতা । এই সব দোষাশ্রিত ব্যক্তিদিগকে কদাপি কুলীন সংজ্ঞা দেওয়া যাইতে পারে না। র্যাহারা উন্নতমনা, তাহারাই প্রকৃত কুলীন ।
- উৎকর্ষ বিশেষাত্মক নবধাগুণবিশিষ্টত্বং কুলীনত্বং (শবকরক্রম)