-cयांशं-ऊष्ठ् । ২৬১ যদি সমাধিসিদ্ধ হইলে এক দেহ হইতে অন্য দেহে, এক লোক হইতে অন্য লোকে অবলীলাক্রমে গমন করা যায়, অভিনব বিষয় সকলের উদ্ভাবন করা যায় ; আকাশ হইতে পুষ্পবৃষ্টি, অমৃত বর্ষণ, দেবজ্যোতির্নিঃসরণ প্রভৃতি অদ্ভূত ব্যাপার সকল ইচ্ছামাত্র সম্পন্ন হইতে পারে ; তবে এ খেলাত গ্রহণে ফল কি ? রাজার নিকট পুরস্কার লইতে সাধকের কি নিমিত্ত অভিরুচি হয় ? তিনি যে একবার মনন করিলে কত শত এমন খেলাত কল্পনা করিতে পারিতেন যাহা চৰ্ম্মচক্ষে কেহ কথন দেখে নাই। মনুষ্যে কারিগরি কি জানে ?— মনুষ্যের কি আবার নিপুণতা আছে ?—না, রচনা কৌশল আছে ? সাধক মানস করিলে যে বিশ্বকৰ্ম্মার কৰ্ম্মঠ হস্তের হুমুরি আসিয়া পড়িত,—ষাহ কেহ কখনও দেখে নাই, শুনে নাই,-অনুমানেও ভাবিতে পারে না । কেবল ঐ থেলাভ গ্রহণেই সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে । সমাহিত যোগী যে লোকাতীত ধৰ্ম্ম লাভ করিতে পারেন, সে কথা আর আমাদের বিশ্বাস হয় না । কলিকাতার হোসেন খাও বলিতেন যে, তিনি মনে করিলে পৃথিবীর কোথায় কি আছে সকল কথা বলিতে পারেন । পুরাতন ভাঙ্গা অট্টালিকা ও অন্যান্য যে যে স্থানে টাকা, মোহর ইত্যাদি মহামূল্য ধন পোতা আছে, ইচ্ছা করিলে তাহ। তিনি সকলি জানিতে পারেন এবং এক স্থানে বসিয়। তৎসমুদায় সংগ্ৰহ করিতে পারেন ; কিন্তু ধনের স্পৃহা নাই ; অতএব তৎসমুদায় সংগ্ৰহ করিবার আবশ্যকতা নাই। মুখে ধৰ্ম্ম-কথা, গতি পাপ পথে। ধীরে ধীরে বেস সৎ কথাগুলি বলিতেন, কিন্তু জুয়াচোরের শিরোমণি ছিলেন । কত লোকের যে সৰ্ব্বনাশ করিয়াছেন, তাহার সংখ্যা নাই। মামুষের মন স্বভাবতঃ বড় ঋজু ও কপটতাশূন্য। অনেক দেখিয়া অনেক ঠেকিয়া তবে কুটিলতা শিক্ষা করিতে হয় । নতুবা মনের স্বাভাবিক অবস্থা বড় নিৰ্ম্মল । কোন একটা অদ্ভুত ব্যাপার দেখিলে তৎক্ষণাৎ তাহাত বিশ্বাস জন্মে। প্রতারক লোক মামুষের মনের এই প্রকার ভাবগতি দেখিয়া নানারূপ প্ররোচন দ্বারা স্বার্থ সিদ্ধ করিয়া লয় । মধ্যে মধ্যে সভ্য ও সুশিক্ষিত সম্প্রদায় মধ্যে যে পিশাচতত্ত্বের ঢেউ উঠে, তাহাও এইরূপ । প্রতারণার এমন আশ্চৰ্য্য শক্তি যে তাহার ষড়যন্ত্রে চতুর ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিরও মতি ছন্ন श्झ ! পতঞ্জলি প্রভৃতি ঋষিদিগের প্রণীত যোগশাস্ত্রে, বড় চক্রভেদে এবং তন্ত্রের অন্যান্য অঙ্গে যে সকল যোগের কথা দেখিতে পাওয়া যায় এবং তাহার
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।