বামদেব | - S)>> সমন্বয় ও সামঞ্জস্য করিতে না পারিয়া ঈশ্বরের অস্তিত্বে সন্দিহান হয়। এমন কি অনেকে নাস্তিক হইয়া উঠে । সরলপ্রকৃতি মহারাজ এ ধূৰ্ত্তকে কিরূপে চিনিবেন ? এইরূপ রূপবান সুবেশধারী ঘূর্বদিগকে বড় বড় বিচক্ষণ বিচারপতিরাও চিনিতে পারেন না। র্তাহারা অনেক সময়ে ইহাদিগের সুবেশ ও সুপরিচ্ছদ দর্শন করিয়া ভ্রান্ত হন। র্তাহারা কিরূপেই বা চিনিবেন ? চুণকাম করা ইটের দেয়ালে ঘরের মধ্যে যদি কোন দ্রব্য থাকে, অপরে বাহির হইতে কি তাহা দেখিতে পায় ? এই ধূৰ্বদিগের স্বরূপ দেহ সেই স্বধাসিক্ত সৌধের তুল্য হইয়াছে। हेशञ्च अङाख्दह श्रमूठ दा श्रब्रल श्रादल्ल, श्रटना ठांश किझ८* छांनिरड পরিবে ? এই মনোহর সৌধের মধ্যে মনোহর পদার্থই আছে, সচরাচর বরং এই ভ্রমই জন্মিয় থাকে। এই ধূর্বের সামুদ্রিক শাস্ত্র ব্যবসায়িদিগের দর্প চূর্ণ করিয়াছে। যেখানে উত্তম আকৃতি, সেইখানেই গুণ, ইহাদিগকে দেখিয়া সে সিদ্ধান্ত করিবার যো নাই। হা বিধাতঃ ! হা জগদীশ ! তুমি এমন দুরায়াদিগকে কেন স্থষ্টি করিলে ? ইহাদের হইতে তোমার নাম কলম্বিত হইতেছে ও জগৎ অপবিত্র হইতেছে। বামদেব মনে মনে এইরূপ আক্ষেপ করিতেছেন, বিষন্নভাবে এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, সংকল্পিত রাজজামত ক্রমে বৃদ্ধের নিকটে উপস্থিত হইয়া কহিল, ঠাকুরদাদা ! একটা কথা আছে। এই কথা কহিয়া বৃদ্ধকে কিঞ্চিৎ অন্তরে লইয়া গেল । রাজ-জামাত। যার পর নাই ধৃষ্ট ও প্ৰগলভ বটে, কিন্তু বামদেবকে দেখিয়া তাহার হৃদয় বিকম্পিত ও বিচলিত হইল। তাহার সম্মুখে সে সাহস করিয়া কোন কথা কয়,তাহার এ সাধ্য ছিল না। বামদেব রুক্ষ লোক নন, কটুভাষী নন, কখন কাহাকে নিগ্রহ করেন না ব্যাস্ত্রের ন্যায় বা দস্থার ন্যায় তাহার ভীষণ আকার নয়। র্তাহার মূৰ্ত্তি অতি মনোহর। কিন্তু প্রকৃতি যে র্তাহাকে কি এক অনিৰ্ব্বচনীয় ভাব দিয়াছেন,যত বড় দুরন্ত লোক হউক না কেন, তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেই তাহাকে সঙ্কুচিত হষ্টতে হইবে। বৃদ্ধ জামাই বাবুকে (১) জিজ্ঞাসা করিলেন, কেমন হে ভায়া! ব্যাপারটা কি ? মনটা যে বড় খুলী খুলী দেখছি। জামাই বাবু ঐ কথা শুনিয়া একবারে হাসিয়া ঢলিয়া পড়িলেন এবং ( ) মহারাজ জামাই কল্পিবেন বলিয়া তাহকে জামিয়ছিলেন বলিয়া সকলেই তাহাকে
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।