ংখ্যদর্শন । তৃতীয় অধ্যায় । ( পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর । ) পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, যে পুরুষের তত্ত্বজ্ঞান জন্মে নাই, সে প্রকৃতিতে লীন হইলেও তাহার পুনরায় আবির্ভাব হইয়া থাকে । কিন্তু ইহাতে এই আপত্তি হইতেছে, প্রকৃতি কাৰ্য্য নয়, সুতরাং সে স্বতন্ত্র । সে যদি কাছার আজ্ঞাপরাধীন ন হইল, তবে কেন সে আপনাতে লীন পুরুষের পুনরুখীন করিয়া দেয় ? এ বিষয়ে তাহার প্রেরণকর্তা ত কেহ নাই ? এই আভাসে সূত্রকার কহিতেছেন । অকাৰ্য্যত্বেইপি তদ্যোগঃ পারবশ্যাৎ ॥ ৫৫ ॥ স্ব ॥ প্রকৃতেরকার্য্যত্বেইপ্যপ্রের্য্যত্বেইপ্যন্যেচ্ছানধীনত্বেহুপি তদ্যোগ: পুনরুখানেীচিত্যং তল্লীনস্য কুতঃ পারবশ্যাৎ পুরুষাৰ্থতন্ত্রত্বাৎ । বিবেকখ্যাতিরূপপুরুষাৰ্থৰ্বশেন প্রকৃত্য পুনরুত্থাপ্যতে স্বলীন ইত্যর্থঃ । পুরুষার্থাদয়শ্চ প্রকৃতেন প্রেরকা; কিন্তু প্রবৃত্তিস্বভাবায়াঃ প্রবৃত্তেী নিমিত্তানীতি ন স্বাতন্ত্র্যক্ষতিঃ । তথা চ যোগস্থত্রং । নিমিত্তম প্রয়োজকং প্রকৃতীনাং বরণভেদস্তু ততঃ ক্ষেত্রিকবদিতি । বরণভেদঃ প্রতিবন্ধনিবৃত্তিঃ ॥ভা ॥ - প্রকৃতি কাৰ্য্য না হইলেও অর্থাৎ অন্যের আজ্ঞাপরাধীন না হইলেও আপনাতে লীন পুরুষের যে পুনরুত্থান করিয়া দেয়, তাহার কারণ এই, প্রকৃতি পুরুষার্থপরাধীন, অর্থাৎ স্বলীন পুরুষের বিবেকখ্যাতিরূপ পুরুষাৰ্থ ভোগ হইবে বলিয়া তাহাকে পুনরায় উত্থাপিত করে । প্রকৃতিলীন পুরুষের যে পুনরুখীন হয়, তাহার প্রমাণও দেওয়া হইতেছে । সহি সৰ্ব্ববিৎ সৰ্ব্বকৰ্ত্ত ॥ ৫৬ ৷ স্ব ॥ সহি পূৰ্ব্বসর্গে কারণলীনঃ সর্গান্তরে সর্ববিৎ সৰ্ব্বকৰ্ত্তেশ্বর আদিপুরুষে ভবতি প্রকৃতিলয়ে তস্যৈব প্রকৃতিপদপ্রাপ্তেীচিত্যাৎ । তদেব সক্ত: সহ কৰ্ম্মণেতি লিঙ্গং মনে যত্র নিষিক্তমস্যেত্যাদিশ্রীতেরিত্যর্থঃ ॥ ভ{ ॥ * সেই পুরুষ পুৰ্ব্ব স্বষ্টিতে কারণলীন হইলেও অপর স্বষ্টিতে সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বকৰ্ত্ত আদি পুরুষ হন । এতৎপ্রতিপাদক শ্রুতি আছে। -
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।