ক্ষিতীশৰংশাবলীচরিতম, । Տէ չ ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত গ্রন্থকার লিখিতেছেন যে, তাহার অট্টালিকার ছাদে একটা গৃধ, বসিয়াছিল। এটা ভাবী অমঙ্গলের পুর্বলক্ষণ বিবেচনা করিয়া রাজা দে{ষশাস্তির কামনায় যজ্ঞ করিবার সংকল্প করেন । এ বিষয়ে কুলাচার্য্যদিগের ও একমত নয়। র্তাহীদের মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে, আদিশূর পুত্রেষ্টি যাগ করিয়াছিলেন। আবার অনেকেই বলিয়া থাকেন যে, অনাবৃষ্টি নিবারণ জন্য তদজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গামঙ্গল নামক কাব্যে উল্লিখিত আছে যে, আদিশূর বাজপেয় যজ্ঞ করিয়াছিলেন। গৌড় নগরেতে রাজা নাম আদিশূর। ৰাজপেয় যজ্ঞ হবে তার নিজ পুর ॥ উক্ত পুস্তকখানি রামচন্দ্র তর্কালঙ্কার কবিকেশরীর রচিত। কবি বলেন যে, প্রজার কষ্ট নিবারণের উদ্দেশ্যেই ঐ বাজপেয় যজ্ঞের অনুষ্ঠান করা श्झांछ्लि- - প্রজার সতত পীড়া লোক বলে ক্ষীণ । দুর্ভিক্ষ হইল দেশে ভূমি শস্যহীন ॥ বন্যায় বুড়িয়া যায় কত কত দেশ । দ্রব্যের মাহাঘ দেখি প্রজাদের ক্লেশ ॥ যে কারণেই হউক, আদিশূর, কয়েকবার যে যজ্ঞ করিয়াছিলেন,তাহাতে সন্দেহ নাই। শশ্বদ বৌদ্ধ-বিপ্লবে তৎকালে বঙ্গদেশে বৈদিক-ক্রিয়া-কলাপপারগ সাগ্নিক ব্রাহ্মণ ছিলেন না; সুতরাং কান্যকুঞ্জ হইতে দেবপারগ ব্রাহ্মণ আনাইতে হইয়াছিল। সে সময়ে কনোজে হর্ষদেবের পুত্র চন্দ্রদেব রাজা ছিলেন। তিনি গোড়াধিপতি আদিশূরের শ্বশুর। চন্দ্রদেব জামাতার প্রার্থনানুসারে ভট্টনারায়ণ, দক্ষ, শ্ৰীহৰ্ষ, ছান্দড় এবং বেদগৰ্ভ এই পঞ্চ যাগকুশল ব্রাহ্মণকে গৌড়দেশে পঠাইয়া দেন। দুর্গামঙ্গল পুস্তকে আউত এইটী দক্ষের নামান্তর দেখা যায় । যথা— আউত সহিত চলে মিত্র কালিদাস । ব্রাহ্মণ আনিবার জন্য পাঞ্চলে নগরে দূত পাঠাইবার দুইট কারণ ছিল । উপরে একটী কারণের উল্লেখ করা হইয়াছে। বৈবাহিক সম্বন্ধ থাকায় আদিশূর ভাবিলেন যে, কনোজে লোক পাঠাইলে অবশ্যই তাহার মনোরথ পূর্ণ হইবে । দ্বিতীয় কারণ এই, গৌড়রাজের একজন সভাসদ ব্রাহ্মণ তীর্থযাত্রা প্রসঙ্গে কান্যকুজে গিয়াছিলেন। সেখানেও তৎকালে রাজ-প্রাসাদে
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।