পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R. কল্পদ্রুম। থাকেন, “ যত্রাকৃতিস্তত্র গুণ বসস্তি। “ যেখানে আকৃতি, গুণও সেইখানে থাকে । ভাল আকৃতি ন হইলে সদগুণ সেখানে থাকে না । অনেকের মত এই মস্তিষ্ক, বুদ্ধি ও দয়া দাক্ষিণ্যাদি গুণগ্রামের আধার স্থান । তাছাই যদি হইল"তাহা হইলে, মস্তিষ্ক প্রশস্ত না হইলে ঐ সকল গুণের প্রশস্ত্য হইবার সম্ভাবন নাই। যে আধার অপ্রশস্ত, তাহাতে কি প্রশস্ত আধেয় কখন সমাবেশিত হইয়া থাকে। কথায় বলে স্থালীর ভিতর হাতী পুরা যায় নু । হাতী যেমন বৃহৎ তাহাকে কোন পাত্রে প্রবেশিত কুরিক্তে হইলে তেমনি বৃহৎ পাত্র আবশ্যক হয়। লোকে বলে বড় কপালে, কপাল শব্দে এখানে অনেকে ভাগ্য অর্থ বুঝিয়া থাকেন। কিন্তু আমরা বলি কপীল শব্দের অর্থ লাট যাহার ললাট প্রশস্ত, তাম্বর বুদ্ধি ও অন্য অন্য গুণ অধিক হইয়া থাকে। শাহার ক্ষমতা অধিক হয়, তাহার ধন পক্ষ > ម៉ីក প্রভৃতির সবিশেষ বৃদ্ধি হইয়া উঠে। সুতরাং তাঁহার ভাগ্যও বড় ইইয়া পাকে । কিন্তু যদি অনুধাবন করিয়া দেখ, ললাটের প্রশস্ত্যই তাহার সেই ভাগ্যবত্তীর মূল। যদি কাছাকে কোন সুপুরুষের বর্ণন করিতে বল, সেই বর্ণয়িত সেই বর্ণনীয় পুরুষকে উন্নত ললাট বিশাল বক্ষ প্রভৃতি বিশেষণ দ্বারা বিভূণিত করিয়া তুলিবেন । কে কোথায় দেখিয়াছ বল, ক্ষুদ্রাকৃতি ব্যক্তির গুণ অক্ষুদ্র হইয়া থাকে ? যাহার দেহ অপ্রশস্ত হয়, তাহার বলবীৰ্য্যাদি থাকে না । সে দুর্ঘজীবী হয় না । যাহার বলবীৰ্য্য না থাকে, সে কোন বিপুল পরিশ্রম ও দীর্ঘচিন্তু সাধ্য কোন কাৰ্য্য সাধন করিতে পারে না। বঙ্গবাসিরই তাহার প্রমাণ। বঙ্গদেশে অনেকেই কৃতবিদ্য হইয়াছেন বটে কিন্তু কয় ব্যক্তি দৃঢ়তর পরিশ্রম ও গাঢ়তর চিন্তা-ক্লেশ স্বীকার করিয়া কোন মূর্তন বিষয়ের গবেষণা বা আবিক্রিয় করিতে সমর্থ হইয়াছেন ? এই অসামর্থ্যের অন্য কোন কারণ নাই, বঙ্গবাসিদিগের দৈহিক উন্নতির অভাবই সেই কারণ । ইহঁাদিগের শরীর শক্ত নয়, বলবীৰ্য্য সম্পন্ন নয়, শ্রম ও ক্লেশ সহিষ্ণু নয়, সুতরাং অল্প ক্লেশে কাতর হইয়া পড়ে। কাজে কাজে ইহার বিপুল অধ্যবসায়সাধ্য দুরূহ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে সাহসী ও অগ্রসর হন না। আমরা বঙ্গবাসী যুবকদিগের পঠদ্দশায় যে উৎসাহ অধ্যবসায় তেজস্বিতা বুদ্ধির তীক্ষতাদি গুণের পরিচয় পাই, বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর সে গুলি যেন নিৰ্ব্বাণ হইয়া যায়। লেই উৎসাহ, সেই অধ্যবসায়- সেই তেজস্বিত, মনস্বিতা ও বুদ্ধির তীক্ষতাদি, গল্প ও ক্রীড়ার পর্য্যবসিত হইয় পড়ে। ইহার