স্বর্ণ, রৌপ্য ও ভারতের আয় ব্যয় । 8>Nう বিনিময় কার্য্য বাড়িতে থাকে, এবং সকল কাজ পরস্পরের সাহায্য, সাপেক্ষ হইয়া পড়ে। ভাবিয়া দেখ, এক তুমি কত কোটি লোকের শ্রমের ফল ভোগ কর। প্রথমতঃ তোমার বাসের নিমিত্ত একটা পাক৷ বাড়ী চাই। সেই বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে ইট, চুণ, কাঠ, লোহা, জল, জলাধার, সিড়িী, ভার, প্রভৃতি অনেক দ্রব্যের আয়োজন চাই । তোমার জন্য কেহ ইট গড়িতেছে, কেহ মাটা কাটিতেছে, কেহ লোহা তুলিতেছে, কত জনে কত কাজ করিতেছে, তুমি কিছুরই অসুবিধা জানিতে পার না । যদি তোমাকে স্বহস্তে সকল কাজ করিতে হইত, তবে স্বষ্টির প্রাককাল হইতে এ পর্য্যন্ত একটা ঘর ও সাঙ্গ করিতে পারিতে কি না. সন্দেহ। বিবেচনা কর, ইট করিবার জন্য মাটী চাই, মাটা কাটিবরং জন্য অস্ত্র চাই, আবার অস্ত্রের জন্য লোহা চাই। তুমি যেদেশে রাস কর, হয় ত সে দেশে লোহার আকর নাই। যেখানে লৌহ জন্মে সন্ধন করিতে করিতে তোমাকে সেই দেশে যাইতে হইবে। দেখ, কত আড়ম্বর বাড়িতে লাগিল। গৃহে বসিয়া অনায়াসে যে দ্রব্য এক টাকায়:পাইতে পার, তাহা স্বহস্তে সংগ্ৰহ করিতে হইলে কত ব্যয় বাহুল্য शुछ । বোধ করি হাজার টাকাতেও তাহ পাইবে না। এইরূপে তোমার খাদ্য সামগ্ৰী বেশ ভুষা, আহলাদ আমোদ প্রভৃতি সকল কাজেই কোটি কোটি লোক নিয়ত শ্রম করিতেছে, এবং তুমিও এক এক স্থানে বসিয়া কোটি কোটি লোকের নিমিত্ত শ্ৰম করিতেছ। ইহাতে সকলেরই কাজের সুবিধা, বায়ের স্বল্পতা ও অবস্থার উন্নতি হইতেছে। দেশে যত বাণিজ্য দ্রব্য উৎপন্ন হইবে, সেই সকল দ্রব্যের যত হাত ফের হইবে, ততই লোকের লক্ষ্মীশ্ৰী বাড়িবে। ইংলণ্ডে শিল্পজাত নানাবিধ দ্রব্য উৎপন্ন হইয়া থাকে এবং দেশ বিদেশে ঐ সকল দ্রব্য প্রেরিতা হয়, সেই কারণে সহস্ৰ সহস্ৰ মোহনায় সাগরের জলোচ্ছাসের ন্যায় ইংলণ্ডে অর্থাগম হইতেছে। পৃথিবীর কোন স্থান ইংলণ্ডের ন্যায় সমৃদ্ধিশালী নয় । “ বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ ”—এই চির প্রথিত বাক্য যেন ইংলণ্ডের কারখানায় কারখানায় সার্থকতা প্রতিপাদন করিতেছে। ইংলওঁীয়গণ বিখ্যাত শিল্পী, অমিতশ্রমী এবং বিলক্ষণ অধ্যবসায়শালী। সাংসারিক উন্নতি বিষয়ে তাহারা পৃথিবীর সকল জাতির আদর্শস্থল হইয়াছন । কিন্তু এককালে এই ধনাঢ্য ইংরাজদিগের অবস্থা বৰ্ত্তমান নাগা প্রভৃতি
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।