| কল্পদ্রুম سوالا g পুস্তকে দীনার শব্দের নামোল্লেখ দেখা যায়। হিন্দুরাজাদের রাজত্ব সময়ে যে সকল স্বর্ণমুদ্র প্রচলিত ছিল, তাহ আজিও অনেক স্থানে আছে। গ্রিন্সেপ, প্রভৃতি অনেক পুরাতত্ত্ব-বুভুৎস্থ মহাত্মাগণ ভারতবর্ষের স্থানে স্থানের বিস্তর পুরাতন মুদ্র সংগ্ৰহ করিয়া গিয়াছেন। ঐ সকল মুদ্রা কলিকাতার এসিয়াটিক সোসাইট ঘরে আছে এবং উহাদের অনুরূপ চিত্র এসিয়াটক রিসাচে। দেখিতে পাওয়া যায়। দিল্লী মিউজমে বহুকালের মুদ্র সঞ্চিত আছে। মুসলমান বাংলাহের রাজত্ব সময়েও আমাদের দেশে স্বর্ণমুদ্র প্রচলিত ছিল। পরে ইংরাজের এদেশ অধিকার কৱিলে স্বর্ণমুদ্রার ব্যবহার এককালে উঠিয়া গিয়াছে। এখন কেবল রৌপ্য ও তাম্র মুদ্রা আমরা ব্যবহার করি। ইংলওে স্বর্ণমুদ্রার বহুল চলন। সেখানে তামু ও রৌপ্য মুদ্রা আছে বটে ; কিন্তু অধিক মূল্যের কারবার স্বর্ণমুদ্রায় হইয়া থাকে। ইংলণ্ডীয় টাকার নাম ও মান-পরিভাষা এইরূপঃ– - পেনি ৪ ফার্দিঙ্গে ১ ১২ পেনিতে • जिलिश ২০ সিলিন্থে ১ পাউণ্ড м ২১ সিলিঙ্গে ১ গিনি এই গিনি মুদ্র সচরাচর আমাদের দেশে আইসে এবং উহাতে অলঙ্কার প্রস্তুত হয়। বিলাতে স্বর্ণমুদ্রার চলন, এদেশে রৌপ্যমুদ্রার চলন। এখন রূপা সস্তা হওয়ায় এই বৈষম্য আমাদের ঘোর অনিষ্টপাতের কারণ হইয়া উঠিতেছে। সকলেই জানেন, ভারতের রাজস্থ হইতে প্রতিবৎসর ইংলণ্ডে এক কোটি ষাট লক্ষ পাউণ্ড পাঠাইতে হয়। যখন এক টাকার মূল্য ইংলণ্ডীয় দুই সিলিং অর্থাৎ দশ টাকায় এক পাউণ্ড ছিল, তখন ষোল কোটি টাকা দিলেই হইত। এখন রূপা সস্তা হওয়ায় আমাদের ব্যয়ভার বাড়িয়াছে। আর ষোল কোটি টাকায় এখন হয় না । সম্প্রতি এক টাকার মূল্য এক সিলিং আট পেনি অর্থাৎ বার টাকায় এক পাউণ্ড হইয়াছে। সুতরাং এখন ষোল কোটি টাকার স্থানে উনিশ কোটি বিশ লক্ষ টাকা দিলে এক কোটি যাট লক্ষ পাউণ্ড হয়। দেখ, এক রূপার মূল্য হ্রাস হওয়ায় ভারতের কি সৰ্ব্বনাশ ! সহজে ভারত জঠর জালায় চক্ষে অন্ধকার দেখিতেছে, রাজ্যের কত করভার
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।