স্বর্ণ, রৌপ্য ও ভারতের আয় ব্যয়। 8*為 - মস্তকে বহন করিতেছে, তাহার উপর অনর্থক এই ব্যয়ভার—প্রতিবৎসর বৃথা তিন চারি কোটি টাকা অপব্যয় হইতেছে । । ভারতের যে দুর্দশা ঘটয়াছে, তাহাতে দিন দিন যদি ব্যয়ভার না লঘু করা হয় তবে ত রক্ষা নাই। ভারতের নাম আছে, কিন্তু সে ধন, সে সম্বল আর নাই। ভারত মরিলেও ভারতের স্বর্ণভূমি নাম ঘুচিবে না ; কিন্তু সে নাম আর মিছা—আর তাল বন নাই, অনেক দিন তাহার মূলে কুঠারাঘাত হইস্বগছে, এখন কেবল তালপুকুর নামমাত্র অাছে। ভারতের এখন হঃখের দশা। সময়োচিত কাজ চাই, সময়োচিত ব্যবস্থার চাই। যখন ভারত অপরিমিত ব্যয়ভার বহন করিতে পারিয়াছিল,-ক্টরিয়াছিল, সহিষ্ণুতার সহিত সে ভার বহন করিয়াছিল, একটা কথা কয় নাই। কিন্তু চির দিন সমান যায় না, আজ দুঃখী ভারতের অবস্থার মত ব্যবস্থা হউক, অনৰ্থক ব্যয়ভার লাঘব করা হউক । - আমাদের গুনিয়া আহলাদ হইয়াছে,—এই অপব্যয় নিবারণের জন্য ইউরোপে একটা মহাসভা হইয়াছে। এই সভার ফলাফল কি হইবে বলিতে পারি না। আমরা মূৰ্খ ভারতবাসী, বলিতে পারিব এমন ভরসাও করি না। যাহা হউক, আমাদের কোন কথা বলিয়া কাজ নাই—বলার অনেক দোষ, কোথায় কোন কথার কুট অর্থ বাহির হইবে,—শেষ একে আর ঘটয়া বসিবে। তায় কাজ নাই, এস চক্ষুর জল ফেলি, তাতে রাজভক্তির ক্রটি দেখাইবে না—দুঃখ হইলে কাদিতে হয়। এস সরল অন্তঃকরণে আমর। রাজপুরুষদিগকে একটা উপায় দেখাইয়া দিই। ইংলণ্ডের ব্যয় বলিয়া প্রতিবৎসর আমাদিগের প্রায় বিশ কোটি টাকা লাগিতে বসিয়াছে। এখন এমন একটা উপায় দেখা চাই, যদ্বারা ঐ বিশ কোটি টাকা অন্য উপায়ে উঠিতে পারে। সকলেই জানেন মাদকদ্রব্য গবর্ণমেণ্টের একচেটে ব্যবসায়, তাহাতে অন্য কাহারও হস্তক্ষেপ করিবার অধিকার নাই। মাদকদ্রব্য ও লবণের ব্যবসায় গবর্ণমেণ্টের প্রচুর লাভের বিষয়। ভারতের পঞ্চাশ কোটি টাকা রাজস্বের মধ্যে একৈক আফিম ও লবণ হইতে ষোল কোটি টকা লাভ হয়। এখন দেখা আবশ্যক, ভারতে এমন কোন দ্রব্য আছে কি না যাহা গধর্ণমেণ্ট নিজস্ব করিয়া লইলে ভারতের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই এবং ইংলণ্ডে ৪ সেই দ্রব্য বিক্রয় হইতে পারে। এখন ভারতবর্ষ হইতে তন্য দেশে তুলা, শস্য, চিনি, নীল, চা প্রভৃতি
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।