झर्छोदtफेग्नि खांशाङ्के दिनांग्न । 8२१ শবো কাহার সাধ্য কাণ পাতে। বাটীর গৃহিণী শ্যামাসুন্দরী কহিলেন “ খে মা চাল গুলো যেন ভাল করে বাটা হয় ; নইলে ষষ্ঠীর কোলের বেরাল ভাল গড়ান হবে না ...” - শ্যামামুন্দরী চুচুড়ার হরগোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা। হরগোবিদ বিলক্ষণ সঙ্গতি-পন্ন লোক, এজন্য মেয়েটকে রাধানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামক এক জন গরিব কুলীনের সহিত বিবাহ দিয়া ঘরজামায়ে করিয়া রাখেন : এবং নিজের পুত্ৰাদি না থাকায় মৃত্যুকালে সমস্ত বিষয় কন্যার নামেই উইল করিয়া যান। চুচুড়ার আবাল বৃদ্ধ বনিতা শ্যামামুন্দরীর নাম করিলে চিনেন; কিন্তু রাধানাথের নাম করিলে চিনিতে পারেন না ; কারণ ঐ ব্যক্তি স্ত্রীর নিকট পেটতাতার গমস্তাগোছ ছিল। শ্যামান্বন্দরী কহিলেন “ মা, চালগুলো যেন ভাল করে বাটা হয়, তা না হলে ষষ্ঠীর কোলের বেরাল ভাল গড়ান হবে না । জামাই সেই বিয়ে করে গেলেন আর এলেন না । যতবার আস্তে পাঠিয়েছি, বলে পাঠিয়েছেন “ এক্ষণে স্ত্রীর সহিত দেখা সাক্ষাৎ হলে লেখা পড়া আর হবে না। ” এবার বাছ আমার তিনটে পাশ করে তবে আস চেন। এবারকার ষষ্ঠীবাটায় আমার কত আমোদ ! কিন্তু রাত পোহলে ষষ্ঠীপূজা তার তো কিছুই উদ্যোগ করা হলো না। কেবল বেরাল গড়ানোর চাল বাট হচ্চে। জামাই সাতটার গাড়িতে আসবেন বলে পাঠিয়েছেন। ঘরে এমন একটু বাকারি নেই যে তা দিয়ে তীর ধনুক তৈয়ের করি, রাত থাকতে রঘোকে পাঠিয়ে বাশঝাড় থেকে একখান মুড়ো বাশ, ১৬ গণ্ডা বাঁশ পাতার কোড়, কতকগুলো দুৰ্ব্বাঘাস, একটা বটের ডাল আনাবো। চাপা তুই সকাল সকাল বাবুর বাজার থেকে বেস রাঙ্গ রাঙ্গা আম, কচি কচি তাল শাস, কাঁঠাল, কলা, জাম, খেজুর, ফুটি, তরমুজ, মিছ, গোলামজাম কিনে এনে দিস। আর ওবাড়ীর নিস্তারিণীকে ডেকে দিস, সে এসে কিরণময়ীর চুল বেধে ভাল করে শিখয়ে পড়িয়ে দেবে । কি জানি মা, জামাই তিন তিনটে পাশ, বাছাকে পাছে ঠকিয়ে যায়। মালতী আমার । অল্প বয়সে বিধবা হওয়ায় জামাই নিয়ে ষষ্ঠবাটায় আমোদ আহলাদ করা ভাগ্যে ঘটে নাই ; ছোট জামাই জহরলাল ষষ্ঠীর আশীৰ্ব্বাদে বেচে থাকুন, একে নিয়ে যেন বৎসর বৎসর সকল সাধ মিটাতে পারি । ” 輸 এই সময়ে রবো চাকরকে বাটীর মধ্যে আসিতে দেখিয়া শ্যামামুন্দরী কহিলেন “ রঘু, ভোরে গিয়ে বাঁশ ঝাড় থেকে একখান মুড়ে বtশ কেটে
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।