8、b" 。 কল্পদ্রুম। আনিস। কাল জামাই ষষ্ঠী, ছোট জামাই বাৰু আসবেন “ রবো একে , ইতর লোক তাহাতে আবার অtধ পাগলী,বাসের কথায় কিছু অবাক হইল— বিস্ময় হইল অথচ মনের আবেগে ক্ষান্ত থাকিতে পারিল জ্ঞা কহিল “ মা, বাশ কি জামাই বাবুর বুকে দিতে হবে ? ” - শ্যাম। ষাট, ষাট, ষেটের বাছ । তুই কি কিছুই জানিস নে ? নুতন বীশের বর্ণখারি করে তীর ধনুক তৈয়ের করতে হবে। সেই তীর ধন্থক ও অন্যান্য জিনিসের জলে জামাইকে ষাট ষাট করে আশীৰ্ব্বাদ করতে হয়। . তুই প্রাতঃকালে উঠেই ১৬০ গণ্ড। বাশ পাতার কোড়, একটা বটের ডাল, . কতকগুলো দুৰ্ব্বাঘাস ও একখানা মুড়ে বাশ আমাকে এনে দিতে চাস, রঘে স্বীকার করিল বটে, কিন্তু মনে মনে ভাবিতে লাগিল, ষষ্ঠীবাটায় জামাইকে বুঝি বাশপাত, দুৰ্ব্বাঘাস, বটপাত খাইতে দেয়। " প্রাতে রঘুনাথ কাদে একখান মুড়ো বাঁশ, মাথায় একবোঝা বাশপাতা, বটপাত, লম্বা লম্বা দুৰ্ব্বাঘাস লইয়া আসিতেছে ; এমন সময়ে দেখে জামাই বাবু কার্পেটের ব্যাগ হাতে, গ্রীষ্মকালে পায়ে ফুল ষ্টকিং, গাত্রে ২ । ৩ টে পীরাণ, মুখময় দাড়ি ষ্টেষণ হইতে আসিতেছেন । রঘুনাথ মধ্যে মধ্যে কলিকাতায় জামাই বাবুকে তত্ত্ব তাবাশ করিতে যাইত। এজন্য উভয়ে বেস চেনা সোনা ছিল। জামাই বাবু কহিলেন “ কিরে রবো, ভাল আছিস তে ; তোর মাথায় কি ? ” রঘে উত্তর করিল “ তোমারই খাবার নিয়ে যাচ্চি। ” জামাই বাবু রঘে তামাসা করিল ভাবিয়া আর দ্বিরুক্তি করিলেন না, হাস তে হাসতে চলে গেলেন। রঘো বাড়ী গিয়ে “ মা, ম৷ ” শব্দে চীৎকার আরম্ভ করিল। শ্যামাসুন্দরী ছুটয় আসিয়া কছিলেন “ কিরে ? ” রঘো কহিল মাথা থেকে আস্তে আস্তে নাম য়ে নেন। দেখুন দেখি, এতে জামাই বাবুর পেট ভরবেতো ? আমি রাত থাকতে গিয়ে কেবল মাঠে মাঠে ঘাস ছুলে বেড় য়েছি । ” - শ্যামা। তুমি মর। বাশপাতের কোড় আস্তে বলেছি, তুই পাকা পাকা পাতা নিয়ে এলি। আর সময় নেই কি করি বল দেখি ? দুৰ্ব্ব এথেন্ধুে বেচে নিলে হতে পারবে । এই সময়ে চাপ আসিয়া বাজারের চুবড়ী নামাইল । শ্যামামুন্দরী লাল আম, কচি কচি তালশাস, এবং প্রস্তুত করা ১৬। গণ্ডা বাশপাতার কোড়
- .