ষষ্ঠীৰ্বাটায় জামাই বিদায় । । 8○> न ८नञ्च 1 ६खाई नांदगब अब्रभा शर्छद्र निम श्रांगाद्र श्रृंब अल्लाब्र কবি। ঐ দিন বটের ডাল পুতে তার তলায় পিটুলির বেরাল, বাশ পাতার কোড়, তীর, ধনুক পাকা অাম রাখিয়া যেন নানাপ্রকার ফল ফুলী দিয়া আমার পূজা করে। পূজা শেষ হইলে যে এই কথা শুনিবে তাহার ঝি, জামাই, বেটা, বেী, আমার আশীৰ্ব্বাদে সুখে থাকিবে । ” - কথা শোনা শেষ হইলে শ্যামামুন্দরী গলদেশে অঞ্চল বেষ্টন করিয়া রামী ঠাকুরাণীকে ভক্তিভাবে প্রণাম করিলেন এবং জামাই-আশীৰ্ব্বাদের । স্থান করিতে যাইলেন। রানী ঠাকুরাণীও নৈবিদ্যের পোটলাট হস্তে লইয়া চলিয়া গেলেন । স্থান প্রস্তুত হইলে চাপা গিয়া জামাই বাবুকে ডাকিয়া আনিল। জামাই বাবু আসনে উপবিষ্ট হইয়া দেখেন এক খানি থালে নানাপ্রকার খাদ্যত্রব্য সাজান রহিয়াছে। আর এক খানি থালে একযোড়া ধুতি উড়ানী রহিয়াছে। তিনি উপবেশন করিলে শাশুড়ী শ্যামাসুন্দরী ধান দুৰ্ব্ব হাতে, একগলা ঘোমটা দিয়া নিকটে আসিলেন এবং প্রথমে সেই ঘটের ষট জল কিঞ্চিৎমাত্র জামাইয়ের মস্তকে নিক্ষেপ করিয়া ধান্য দুৰ্ব্ব দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতে লাগিলেন । জহরলাল এক জন ঘোর ব্রাহ্ম। তিনি এই সমস্ত দেখিয়া আন্তরিক দুঃখ সহকারে মৃদুস্বরে কহিতে লাগিল—“ হে ঈশ্বর ! হে করুণাময়! একি ! বাঙ্গালী স্ত্রীলোকেরা না জানি তোমার কতই অবমাননা করিতেছে! হে বিভু ! হে জ্যোতিৰ্ম্ময় ! হে কিরণময় — - শ্যামাসুন্দরী এই সময় ধান দুৰ্ব্ব দিয়া আশীৰ্ব্বাদ শেষ করিয়া জামায়ের হাতে জলখাবারের বাট দিবার উদ্যোগ করিতেছিলেন । হঠাৎ কিরণময় নাম শ্রবণে মনে মনে ভাবিলেন ষষ্ঠীবাটায় শাশুড়ী জামাইকে ধান দুৰ্ব্বা দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করে বোধ করি জামাই তা জানেন না, কারণ আর কখনত ষষ্ঠীবাটায় আসেন নাই এই প্রথম আসা । আমি ঘোমটা দিয়ে থাকায় কে তাহাও হয়তো স্থির করিতে না পারিয়া মনে মনে ভাবিতেছেন তাহার পত্নী কিরণময়ীই বুঝি আশীৰ্ব্বাদ করিতে আসিয়াছেন। অতএব ভ্রমবশতঃ যদি স্ত্রী সম্ভাষণ করিয়া ফেলেন এই আশঙ্কায় মুখের ঘোমটা খুলিয়া চীৎকার শকে কহিতে লাগিলেন— বাবা, আমি ; বাবা, আমি ; তোমার কিরণ
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।