পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন । 8ぐ)○ ব্ৰহ্মা। এ মূৰ্ত্তি কে প্রতিষ্ঠা করে এবং ইহঁার নাম বিক্ৰমচণ্ডী হইল কেন আমাকে বিশেষ করিয়া বল । . বরুণ। বেহারিরা কহে ইনি বায়ার পীঠের মধ্যে একটা পীঠস্থান ; কিন্তু শাস্ত্রাদিতে তাহার কোন উল্লেখ দেখা যায় না। এই চওঁীসম্বন্ধে একটা অদ্ভূত গল্প এখানকার পাগুদিগের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। ইন্দ্র । সে গল্পটা কি ? বরুণ । তাহারা বলে “ মহামতি কৰ্ণ প্রতিদিন রজনী-যোগে ভাগলপুর হইতে এখানে ইহঁাকে পূজা করিতে আসিতেন। ভাগলপুরে কর্ণপুরী ছিল। তিনি আসিয়াই প্রচণ্ড অগ্নি প্রস্তুত করিয়৷ তদুপরি এক কড়া ঘৃত চাপাইয়া পূজা করিতে বসিতেন। পূজা হইলে সেই কড়াস্থিত উত্তপ্ত ঘৃত মধ্যে লাফাইয়া পড়িয়া জীবন ত্যাগ করিতেম। র্তাহার মাংসাদি স্মৃতে উত্তমরূপ ভাজা হইলে দেবীর ডাকিনী যোগিনীগণ আসিয়া সেই মাংস লইয়া আহার করিতে বসিত । আহার শেষ হইলে এক খানি অস্থিতে অমৃতকুণ্ডের জল দিয়া তাহাকে সজীব কবিয়া বর দিতে চাহিত। কর্ণ তদনুসারে ঐ কড়ার এক কড়া স্বর্ণ, রৌপ্য, হীরকাদি প্রার্থনা করিতেন । এবং প্রাতে সেই সমস্ত রত্ন কাঞ্চনাদি দরিদ্রদিগকে দান করিতেন। রাজা বিক্রমাদিত্য, কর্ণ প্রত্যহ এত অর্থ কিরূপে সংগ্রহ করেন জানিবার জন্য র্তাহার নিকটে ছদ্মবেশে অtসিয়া ভূত্য হইবেন প্রার্থনা করেন। কর্ণ তাহাকে এই স্থানের ভূত্য নিযুক্ত করিয়া পুষ্প চয়ন এবং পূজার স্থানাদি করিবার ভারাপণ করিয়াছিলেন। বিক্রমাদিত্য পূজার পদ্ধতি ও উক্ত ঘৃতে দেহত্যাগ ইত্যাদি কৌশল দেখিয়া এক দিন কর্ণ-আসিবার পূৰ্ব্বে স্বয়ং পূজাদি সমস্ত কাৰ্য্য শেষ করিয়া ঘৃতে প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া ভাজ ভাজা হইলেন। ডাকিনী যোগিনীগণ র্তাহার মাংস ভোজন করিয়া অমৃতকুণ্ডের জলে জীবন দান করিয়া বর দিতে চাহিলে এই বর প্রার্থনা করেন যে—অদ্য হইতে কৰ্ণ আসিবামাত্র যেন তাহার প্রার্থিত রত্ন কাঞ্চনাদি প্রাপ্ত হন ; আর যেন কষ্ট পাইয় তাহাকে উত্তপ্ত স্বতে জীবন ত্যাগ করিতে না হয়। অনেক কষ্টে যোগিনীগণ র্তাহাকে এ বর প্রদান করিলেন। বিক্রমাদিত্য বর প্রাপ্ত হইয়া সেই স্কৃতের কড়াখানি দেবীর গৃহের ছাদের উপর উৰু করিয়া দিয়া চলিয়া গেলেন। সেই জন্য তদবধি ইহঁর ছাদ কড়ার আকার ধারণ করিয়াছে। এবং সেই কারণেই ইহার নাম বিক্রম