পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কারণ কি ? ৪৮৯ বিদ্যাকে দেবীমূৰ্ত্তিতে কল্পনা করিয়া পূজা পদ্ধতির বিধি দিয়া গিয়াছেন । আজও র্যাহার শ্রীপঞ্চমীর দিন জোড় করে ঐ দেবীকে “ স্মৃতিশক্তি জ্ঞানশক্তি বুদ্ধিশক্তি স্বরূপিণী “ বলিয়া প্রণাম করেন ও পুষ্পাঞ্জলি না দিয়া জলগ্ৰহণ করেন না, তাহদের মপো অনেকেই সেই মাতৃকুলকে সৰ্ব্বাগ্রে বিদ্যাভূষণে অনলঙ্কত রাথিবীর জন্য প্রাণপণে চেষ্টা পাইয়া পাকেন, ইহা অপেক্ষ কৌতুকাবহ ব্যাপার আর কি ইষ্টতে পারে ? “ বিদ্য বন্ধুজনৰ্বিনাশনকরী বিদ্যা পরং দেবতা বিদ্যা ভোগযশঃকুলোয়তিকরী, বিদ্যাবিহীনঃ পশু; ॥ " ( ঠতি গরুড়ে । ১১০ অধ্যায়। ১১৫ অধ্যায় । ) যে বিদ্যাকে আর্য্যের বিপদে বন্ধু ও পরম দেবতা বলিয়া চিনিতেন ; যে বিদ্যাকে তাহার ভোগ দশ ও কুলোয়তিকর বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়া গিয়াছেন, যে বিদ্যাহীন লোককে তাহারা পশুমধ্যে পরিগণিত করিতেন, র্তাহীদের বংশধরগণ যে নিজ নিজ ভূহিত ও সহধৰ্ম্মিণীকে সেই জ্ঞানামৃতদীনে বঞ্চিত করিবেন, ইহা তাহারা স্বপ্নেও ভাবেন নাই । যাহাঁদের এরূপ কুসংস্কার যে স্ত্রীলোকদিগকে বিদ্যা শিক্ষা দিলে তাহার চটুলা হইবে, তাহদের চক্ষু ফুটিলে সব বুঝিতে পরিবে, মূখ স্বামীর ভারিভুরি জারিজুরি খাটিবে না, তাহারা বিদ্যানুশীলনে প্রবৃত্ত হইলে গৃহকৰ্ম্মে অনাদর ও অমনোযোগ জন্মিবে, তাহদের প্রবোধার্থ অধিক বলিবার নাই। তাহাদের এই মাত্র জানা উচিত যে, বৈদিক কালের কথা দূরে রাখিয়া পৌরাণিক যুগের পণ্ডিতদের উপদেশ পাঠ করিয়। দেখুন, তাহার। এ সম্বন্ধে কিরূপ উদার নীতি অনুসরণ করিয়া গিয়াছেন । র্তাহীদের ধারণ এইরূপ ছিল ও তাহারা ইত বিশ্বাসও করিতেন যে, “ ন হি বিদ্যা কুলং জাতিং রূপং পৌরুষপাত্ৰতাং । বশতে সৰ্ব্বলোকানাং পঠিত উপকারিত ॥ " অর্থাৎ বিদ্যা কুল, জাতি, রূপ, পৌরুষ, বিবেচনা করে না ; বিদ্যা সৰ্ব্বলোকে ও সকলের দ্বারা সমাদরে পঠিত হন, এবং সকলেরই উপকার সাধন করিয়া থাকেন । - র্তাহারা যে কতদূর উদার ও উন্নতিশীল ছিলেন, তাহ উপরি উক্ত শ্লোক দ্বারা বিশদরূপে প্রমাণীকৃত হইতেছে। র্তাহারা বিদ্যাবতী স্ত্রীরও ভূয়সী প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন, * 求 ( ৬১ )