হিন্দুসমাজের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কারণ কি ? ৪৯৩ লক্ষ্য স্থির রাখিয়া, এবং সমগ্র হিন্দুসমাজের অবশ্য কৰ্ত্তব্যের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া কাজ করিলে অশেষ মঙ্গল হইবার সম্ভাবনা আছে । সাহেবী চালচলন আমাদের জীবনের মধ্যে যেমন অনেকটা সংক্রামিক হইয়াছে, এবং তজ্জন্য আমাদিগকে অনেক সময় দুঃখ প্রকাশ করিতে হয়, বিবীয়ানা ধরণ ধারণ যদি আমাদের সহযোগিনীদের তেমনি আদর্শ হইয়। পড়ে, তাহ হইলেই আমরা গেলাম। আমরা বাড়ী গিয়া দুই চারি দিন যাহা কিছু মনের মুখ পাই তাহাতেও বালি পড়িল, ঘর বার সমান জলিয়া উঠিল। পিয়ানো বাজাইয়া গান গাইতে না পারিলে, হাতে হাত দিয়। বাগানে বাগানে বেড়াইতে না পারিলে যদি শিক্ষিত হওয়া না যায়, ভগিনীগণ! তোমাদের আর আমাদের নিকট কিছু শিক্ষা লইয়া কাজ নাই ! তোমাদের দেবী প্রকৃতি সহজে যে সব সম্ভাবকুহুম প্রস্ফুটিত করিয়া হিন্দু আশ্রমকে-প্রাতে ও সন্ধ্যায় আমোদিত করিয়া থাকে তাহাই যথেষ্ট, তাহারই উৎকর্ষ সাধন কর, ভারতমাতার মুখ উজ্জ্বল হইবে । হিন্দু পুরুষ সমাজ বর্ষমান বিদ্যা প্রভাবে শিব না হইয়া " বা-নর ” সাজ সাজিয়া বিজাতীয় বিদেশীয় সব দুষ্ট রীতিনীতির অনুকরণ করিয়া শ্ৰীশ্ৰষ্ট, বুদ্ধিভ্রষ্ট, ও ধৰ্ম্মভ্ৰষ্ট হইয়া পড়িয়াছে । মাতৃ জাতিকে যদি ঘর সাজান তৈজসপত্রের মধ্যে গণ্য করা হয়, যদি র্তাহাদিগকে আমাদের ছায়াবৎ করা হয়, তাহ হইলে তঁরাও গেলেন আমরা ও গেলাম। আমরা যে ডুব দিয়াছি এবং দরূপ আখাতে তলাইয়া যাইতেছি এখন আমাদের ভাসিয়া উঠিবার চেষ্টা না পাইয়া, বৃথা অপরকে জড়াইয়া সব শুদ্ধ মরা কেন ? যদি তাহাদিগকে ক্রীড়নক বস্তুবোধে জীবনের ব্রত পালন হইল ভাবিয়া নিশ্চিন্ত থাকা উচিত বোধ হয়, তাহা হইলে কোন কথাই নাই, তাহা ন হইয়া, যদি ইহার মধ্যে আরো কিছু গুরুতর দায়িত্ব থাকে, যদি তাহাদিগকে উত্তমাঙ্গরূপে গ্রহণ করিয়া সমাজকে সবল করা যুক্তিযুক্ত হয়, তাহ হইলে তাহাদের স্বভাবসুলভ হৃদয়নিহিত সম্ভাবনিচয়ের যথোপযুক্ত উৎকর্ষ সাধন করা সৰ্ব্বাগ্রে কৰ্ত্তব্য কি না মুবোধ চিন্তাশীল পাঠকগণ বিচার করিয়া দেখুন। আমাদের দেশে য়ে সময়ে ইংরাজী বিদ্যা শিক্ষার প্রথম তরঙ্গ উঠিয়াছিল, আমাদের অমানুষত্ব দূর করিয়া প্রকৃত মনুষ্যত্বে আনিবার জন্য যখন খ্ৰীষ্ট মিশ গরিরা প্রাণপণ চেষ্টা ও যত্ন করিতেছিলেন, সেই সময়ে সুসভ্য উন্নত ইউ
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।