কল্পদ্রুম। سران:8 যেমন স্বামী তেমনি স্ত্রী । যেমন গম্ভীর প্রশ্ন তেমনি সার উত্তর। আজকাল কোন স্বামী যদি এইরূপ স্ত্রীকে উপদেশ দেন, যে ধনের দিকে একদৃষ্টি হইয়া প্রাণ হারাইও না, সামান্য অলঙ্কারে প্রয়োজন কি ? শারী: রিক বেশভূষা অকিঞ্চিৎকর ; যাহাতে হৃদয় মন প্রাণ অলঙ্কৃত হয় তদুপায় অবলম্বন কর, সংসারে আশার অস্ত নাই, ধনকৃষ্ণার অপেক্ষা আর যন্ত্রণা নাই। ইহার উত্তরে চারুবৰ্দ্ধনা হয়, হামিতে হাসিতে স্বামীকে বলিবেন, মে, দেখ তুমি অধিক পড়ে শুনে বিগ ড়ে গিয়াছ সন্দেহ নাই । তাছা না হলে ধনের নিন্দ গহনার নিন্দ সংসারের নিন্দা তোমার মুখ হইতে আজ বাহির হইলে কেন ? তোমার জানা উচিত যে “ অর্থে চ সৰ্ব্বে বশীঃ ” অর্থের দ্বারা সকলেট বশীভূত হইয়া থাকে। দেখ অমুকের স্বামী বিশ্বাসঘাতকতা গুণে রাজকোষ হইতে কেমন ফিকির করিয়া কত টাকা কড়ি উপার্জন করিয়া দশজনের মধ্যে একজন হইয়াছে। তুমি কি দেখিয়াও দেখিতেছ মা, আমাদের ও পাড়ার অমুক মিত্রজ ও অমুক চক্রবর্তী গন্ত আফগান যুদ্ধোপলক্ষে কেমন চতুরতা করিয়া লক্ষটাকার বিষয় করিয়া বড়বোঁকে কেমন উত্তম উত্তম গহনা দিয়াছে, কেমন গাড়ি ঘোড়া চড়িতেছে, কেমন পাড়ার মধ্যে মান্য গণ্য হইয়াছে, অতএব তুমি ওসব ভেক ছাড় ; ঐ রূপ চাকুরীর চেষ্ট দেখ, এবং যত পার লুঠ কর ও অামায় গহনা দেও ! যে স্বামী স্ত্রীকে গহনা দেয় না, তাহার বাচিয় কাজ কি ? অতএব তুমি বাচিয়া থাক, ও আমায় মাসে মাসে এক এক থানা করিয়া গহনা দিতে থাক । “ সাহোবাচ মৈত্রেয়ী যেনাহং নামৃত স্যাং কিমহং তেন কুৰ্য্যাং, সদেব ভগবান বেদ তদেব মে ব্রাহীতি ” । বৃহদারণ্যক উপনিষদ । ৪র্থ অঃ । সেই সতী মৈত্রেয়ী স্বামীকে আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, যে ধনের দ্বারা আমার মুক্তি হইবে না, সে ধনে আমার কি প্রয়োজন ? অতএব মুক্তি সাধনের যে কিছু উপায় মহাশয় জানেন, তাহ আমাকে বলুন। -
- সহোবাচ যাজ্ঞবল্ক্যঃ প্রিয়োবৈ থলু,
সাভবতী সতী প্রিয়মবৃধৎ হস্ত তহি...