শ্ৰীহৰ্ষ ( )సి সাধন প্রবর্তিত হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। এখনও দক্ষিণাত্য ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শক্তি উপাসনার বিশেষ প্রচার নাই, কোন কোন ব্রাহ্মণ প্রতিদিন কেবল দেবী মাহাত্ম্য পাঠ করিয়া থাকেন। তদ্ভিন্ন পূর্ববঙ্গের কোন কোন সিদ্ধ পুরুষ গিয়া কচিৎ কোন ব্রাহ্মণ ক্ষত্রির বা বৈশাকে শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত করিয়াছেন। ভগবতীর কোন একটী নাম হইতে মানুষের নাম করণ করা কেবল বঙ্গ ও মিথিলাতেই প্রচলিত, অন্যত্র শিব বিষ্ণু স্বৰ্য্য গণেশ প্রভৃতি অন্যান্য দেবতার অন্যতম একটা নাম হইতে মামুষের নাম রাখা হয় । যাহা হউক, পশ্চিমপ্রদেশে “ গিরিজাদত্ত, ” “ অম্বিকfদত্ত * প্রভৃতি নাম এথন শুনিতে পাওয়া যায়। নাম করণের পক্ষে মনু এই বিধি দিয়াছেন যে, মাঙ্গল্যং ব্রাহ্মণস্য স্যাৎ ক্ষত্রিয়স্য বলান্বিতম। বৈশ্যস্য ধনসংযুক্তং শূদ্ৰস্য তু জুগুপ্তিতম । কোন মঙ্গলবাচক শব্দে ব্রাহ্মণের, বলবাচক শব্দে ক্ষত্রিয়ের, ধনবাচক শব্দে বৈশ্যের, এবং নিন্দাবাচক শব্দে শূদ্রের নাম রাখিবে। যখন বৈদিক উপাসনা প্রচলিত ছিল, সে সময় কোন মঙ্গলময় গুণবাচক শব্দে ব্রাহ্মণের নাম করণ করা হইত। যথা, বীতরাগ (রাগশূন্য) বেদগৰ্ভ (বেদাভ্যাসী ) ছান্দড় (ছন্দ-বেদে পটু) ইত্যাদি। কিন্তু, মমুর এ ব্যবস্থ৷ অধিক দিন প্রচলিত হয় নাই। পূৰ্ব্বে মাতাপিতার নাম হইতে, গুরুর নাম হইতে, জন্মস্থান হইতে, জন্মপ্রণালী হইতে মানুষের নাম করণ করা হইত। পার্থ (মাতার নাম হইতে পৃথ।+অণ)। জানকী (পিতার নাম হইতে জনক+ অণু-জীপ)। পাণিনি (গুরুর নাম হইতে পণ+অণ4-ইনি ) দ্রোণ, সীতা, দ্বৈপায়ন ( জন্মস্থান ও জন্মপ্রণালী হইতে ) ৷ বৈদিক আৰ্য্যদের নাম করণ এইরূপে চলিয়া আসিতেছিল । অতঃপর, মধ্যে কতক দিন |ঙ্গলবাচক শব্দে ব্রাহ্মণের নাম রাখা হইল। ক্রমে পৌরাণিক দেবদেবীর উপাসনা আসিল, মনুষ্যের নাম করণ প্রণালীও ফিরিয়া গেল। তখন হইতে রামসহায়, হরপ্রসাদ, হরিশঙ্কর, গণপতি, স্বৰ্য্যভারতী, দেবীপ্রসাদ, ভগবতীচরণ এই সকল নামের আদর বাড়িল । বঙ্গ ও মিথিলায় শক্তি উপাসক অধিক। সে কারণ এই দুই প্রদেশে ভগবতীর নামে অনেক ব্যক্তির নাম শুনিতে পাওয়া যায়। অন্য দেশে গাণপত্য, বৈষ্ণব, শৈব প্রভৃতি অন্যান্য দেবোপাসক অধিক। তজ্জন্য তত্ত্বৎ দেশে গণপতি, শিব, বিষ্ণু
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।