পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩

ফুল কাখার জন্য ফুটে ? 6 ጫ জনীয় বস্তু। যদিচ অনেক দেখিতে স্থলরফল মুগন্ধবিশিষ্টও হয়, কিন্তু যে সকল ফলের পাপড় মনোহর নয় এবং বর্ণের বৈচিত্র্য নাই, প্রায় সেই সকল ফুলেরই গন্ধ অধিক মনোরম ও প্রচুর হয়। এমন না হইলে সৌন্দর্যের অভাবে ফল মনোহরণে সমর্থ হইবে না, মধুকর বা প্রজাপতি প্রভৃতি কীটাদি আসিবে না, ফল সঙ্গমিত না शूंश्च। জগৎ হইতে বিলুপ্ত হইবে, উদ্ভিজ্জ-জাতি স্বষ্টি হইতে নিঃশেষিত হষ্টয়া যাইবে । এ জন্য গন্ধবত্তা ফলের পক্ষে নিতান্ত আবশ্যক হওয়ায়, কুৎসিতফল প্রায়ই অতীব সুগন্ধ হইয়া থাকে ; ফলের সৌন্দৰ্য্যহীনতা দোষ, যেন গন্ধের প্রাচুর্য্যে পরিপূরিত হয়। মেী ফুল দেখিতে কুৎসিত, ইহার গঠনাদির সৌন্দর্য্য কিছুই নাই, কিন্তু ইহার গন্ধের আধিক্য ও মাধুর্য্যের জন্যই ইহার প্রতি মধুকর বড় অতু রক্ত। প্রকৃতির এই বিসদৃশ ভাব পরিলক্ষ্য করিয়াই কবি বলিয়াছেন, “ অনন্ত পুষ্পস মর্ধোহি চুতে দ্বিরেফমালা সবিশেষসঙ্গা । ” মধুকরকে বলি কেন, মের্থীর মধুর গন্ধের জন্যই ইহাকে আমরাও এত আদর করি, ইহার ফুল ফুটিলেই ডাল ভাঙ্গিয়া লই। ওলীয়াফ গরান্স একটা অতি ক্ষুদ্র নির্গৰ্ব্বিত শ্বেত বর্ণের ফুল, ইহার চারিটা পাপড়, ইহাতে জবার রক্তিমা নাই, কমকোর গঠন বৈচিত্র্য ও নাই, কিন্তু ইহাতে এ সকল কিছুই না রহিলেও, ইহা জবা ও ঝুমকে অপেক্ষ কেন, প্রায় অনেক ফুল অপেক্ষাই অধিক আবৃত ও প্রশংসিত হয়। ইহা অতি অসদৃশ হইলেও ইহাকে আমরা যে কারণে এত ভালবাসি, মধুকরাদিও সেইজন্যই ইহায় সবিশেষ আসক্ত ; ওলীয়া গৱান্সের অনুপম মধুৰ গন্ধই সেই প্রশংসিত কারণ ইহার এই মধুর গন্ধবত্তার জন্যই ইহা এখন স্থষ্টিতে রহিয়াছে, নহিলে সঙ্গম ব্যতিরেকে পূৰ্ব্বেই বিলুপ্ত হইত। ফলের মধুকরাদি দ্বারা সঙ্গম সম্মাদন নিরতিশয় আবশ্যক হওয়ায়, প্রায়ই ফুল মধ্যে এই নিয়মটা অবিচলিত প্রসিদ্ধ দেখিতে পাওয়া যায় যে, যে সকল ফুল দেখিতে মনোহর ছয় না, প্রায় তাহার গন্ধ অত্যন্ত মধুর হয়, আবার ইহার বিপরীত অর্থাৎ যে সকল ফুল যত সুগন্ধ হয়, তাহ সেই পরিমাণে দেখিতে অসুন্দর হইয়া থাকে। শ্বেতবর্ণের ফুলে স্বগন্ধের আতিশয্য যত পরিমাণে হয়, তেমন অন্য বর্ণের ফুলে হয় না । জগতে যত শ্বেতবর্ণের ফুল আছে দেখা গিয়াছে যে তাহারা প্রায় সকলই মনোরম গন্ধবিশিষ্ট । আমাদের দেশে যত অতীব সুগন্ধি ফুল ( or )