পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q、や কল্পদ্রুম | রায় বাহাদুর এক সময় পাঁচ সহস্র টাকা দান স্বীকার করেন এবং আরো কিছু সাহায্য করিবেন বলেন । ক্রমে অসংখ্য শ্রোতৃবর্গ আসিয়া উপস্থিত হইল এবং যথা সময়ে তানমান-লয়-বিশুদ্ধ কয়েকট ধৰ্ম্ম সংগীত গান করা হইলে এক যুবা দাড়াইয়া বস্তৃত আরম্ভ করিলেনঃ– বন্ধুগণ ! ধৰ্ম্মই জগতের এক মাত্র সহায়। ধৰ্ম্মের দ্বারাই অধৰ্ম্ম ও পাপের ধ্বংস হইয় থাকে ইহা শ্রুতিতে উক্ত আছে। মনুষ্যমাত্রেই ঈশ্বরকে জানিতে চাহে, ঈশ্বরকে দেখিতে চাহে এবং এই জন্যই সকলেই সাম্প্রদায়িক রীত্যনুসারে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান, করিয়া থাকে। যদি খ্ৰীষ্টানকে জিজ্ঞাসা করা যায়, কি প্রকারে ঈশ্বরের দর্শন পাওয়া যায় ? তিনি কহিবেন খ্ৰীষ্টকে বিশ্বাস কর, তাহার দর্শন পাইবে। যদি মুসলমানকে জিজ্ঞাসা করা যায় তিনি কহিবেন—মহম্মদোক্ত উপাসনা পদ্ধতি অবলম্বন কর র্তাহাকে প্রাপ্ত হইবে। ইত্যাদি ( সকলের করতালি) আমি হিন্দু-আমার কি উপায় অবলম্বন করিলে ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হওয়া যায় এই মাত্র প্রধান উদ্দেশ্য । অধুনা অনেকে—(ব্রহ্মার করতালি ) নারা । পিতামহ ! বেতাল হ’ল । ব্ৰহ্ম । তুমি থাম। ফল হাতে করে বসা হয়নি মনে আছে ? বক্তা । অধুনা অনেকে স্ব স্ব রুচি অনুসারে কার্য্য করিয়া থাকেন,তজন্যই বৰ্ত্তমান সময়ে এত ধৰ্ম্মবিপ্লব ঘটয়াছে। আমার মতে ষ্ট্রোমার আমার রুটি পরিত্যাগ করিয়া আর্য্য ঋষিগণ যে পথ অবলম্বন করিয়াছিলেন, সেই পথ অবলম্বন করা উচিত এবং উtহাদের উপদেশ গ্রহণ করা কর্তব্য । দেখ ধৰ্ম্ম এক, ধৰ্ম্ম কখন দুই হইতে পারে না। পূৰ্ব্বকাল হইতে শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণাদি কোন গ্রন্থেই “ ধৰ্ম্ম ” শব্দ ভিন্ন “ আর্য্যধৰ্ম্ম “ বা “ হিন্দুধৰ্ম্ম ” ইত্যাদি কোন বিশেষ নামে উল্লেখ ছিল না। এক্ষণে খ্ৰীষ্টীয়, মহম্মদীয় ইত্যাদি বিবিধ ধৰ্ম্ম হইতে বিশেষ করিবার জন্য আৰ্য্যধৰ্ম্ম নাম দিতে হইয়াছে। (সকলের করতালি) যেমন কোন আফিসে–(ব্রহ্মার করতালি ) নারা । ঐ আবার বেতাল হ’ল ! ব্ৰহ্মা। তুই থামবি ? না হয় ত বল উঠে যাই। আমার ভাল লাগচে তালি দিচ্চি, তুই এমন বিরক্ত করিতে বসলি কেন ?