৫৩২ কল্পঙ্কম | বরুণ। এস্থানের নাম ভাগলপুরের মাড়োয়ারি পট । এখানকার মাড়োয়ারির কলিকাতার বড় বাজারের মাড়োয়ারিদিগের ন্যায় অতি সংকীর্ণ স্থানে বাস করিয়া থাকে। - এই সময় ঢাকের বাদো তাহাদের গাড়ির ঘোড়া দুটা লাফাইতে লাগিল। কোচম্যান দ্রুতগতি গাড়ি হইতে নামিয়া চুমকুড়ি দিতে দিতে ঘোড়া দুটকে ধরিয়া গাড়ি খানি রাস্তার এক পাশ্বে লইয়। যাইল । দেখিতে দেখিতে অনেকগুলি ঢাকী ঢাক বজাইতে বাজাইতে চলিয়া গেল । তৎপরে অশ্বারোহণে কতকগুলি বরযাত্রও অগ্রসর হইলেন । তৎপরেই বীরবেশধারী পাত্র সশস্ত্রে অসিন্ধা দেখা দিলেন । র্তাহার হস্তে তরবারি, পৃষ্ঠে ঢাল, গাত্রে একটা চাপকন এবং স্তকে পাগড়ী। ভগকে বেষ্টন করিয়া অনেক গুলি স্ত্রীলোক করতালি দিতে দিতে গান করিয়া অগ্রসর করিয়া দিতে যাইতেছে। স্ত্রীলোকেরাও এই শুভকাৰ্য্য উপলক্ষে বেশ ভূষা করিয়া নানা রঙ্গের ডোপান বস্ত্র পরিধান করিয়াছে এবং বিবাহ আমোদে যেন তাহারা মাতোয়ার হইয়াই হেলিয়া দুলিয়া উঠিয়া বসিয়া করতালির সহিত গান করিড়েছে। নারা । পাত্রের ঢাল তরবালা লইবার প্রয়োজন কি ? বরুণ। পূৰ্ব্বে ভারতে স্বয়ম্বর প্রথা প্রচলিত ছিল । ঐ বিবাহে পাত্রী সভাস্থ দে পত্রিকে মনোনীত করিতেন, তাহারই গলে মাল্য প্রদান করিতেন। সময়ে সময়ে পাত্রী অকুলীন এবং বীর্যবিহীন রাজা বা রাজপুত্রের গলে মাল্য প্রদান করিলে অপরাপর রাজার পাত্রীকে বলপূৰ্ব্বক হরণ করিবার চেষ্টা করিতেন। যেমন তুমি রুক্মিণীকে হরণ করিয়াছিলে। সুতরাং বিস্ব দধিসম্বাদ ঘটিবার আশঙ্কায় পত্ৰ সশস্ত্রে বিবাহ করিতে যাইতেন । এক্ষণে রজঃপুতদিগের বলবীৰ্য্য নাই, কিন্তু বিবাহ সময়ে সশস্ত্রে যাওয়া পদ্ধতিটা আছে ; তজ্জন্য পাত্র ভৌত তরবাল ও ভাঙ্গ ঢাল পৃষ্ঠে বা লইয় য ইতেছেন। তজ্জন্যই অদ্যপি ব্যবসীরা বিবাহ সময়ে সুতীক্ষু জাতি এবং বীর রমণীগণ কাজললতা ব্যবহার করিয়া থাকেন ! ব্ৰহ্মা। বরুণ ! এস্থানের নাম ভাগলপুর হইল কেন ? বরুণ। এই স্থানে মহর্ষি ভার্গবের একটী আশ্রম থাকায় সময়ে সময়ে তিনি আসিয়া বাস করিতেন । ঐ ভার্গবের নাম অনুসারে বর্বামন ভাগলश्रृद्ध नोभ श्हेग्रो:छ् ।
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।