দেবগণের মর্ত্যে আগমন । 6. විකු বাবুর স্ত্রী, টিকিট বিক্রেতা বাবুর স্ত্রী, এবং স্কুল মাষ্টার বাবুর স্ত্রী, নিমন্ত্রণ থাইতে আসিয়া কাহার স্বামী বড় চাকরে এই বিষয়ের বিবাদ করিতেছেন । নারা। দেখ বরুণ ! ইহাদের বিবাদ দেখে আমার একটা হাস্যজনক কথা মনে পড়লো। এক সময় আমার নূতন বাগানের প্রজারা একটী যাত্রার দল করে। ঐ দলে তিনকড়ে দুলে হনুমান সাজতো । এক দিন তিনকড়ির স্ত্রী গোয়ালঘর পরিষ্কার করিতে আসিয়া বাড়ীর মেয়েদের কাছে গল্প করি, তেছে—“ কাল কৰ্ত্তা যেতে না পারায় যাত্রা হয় নাই ; এমন আশ্চৰ্য্য দেখি নাই, এত লোক রয়েছে তিনি না যাইলে কি এক দিন চালায়ে নিতে পারে না । * আমার বড় মেয়ে রাজেশ্বরী এই কথা শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“ হf তিমুর বেী, তিতু যাত্রায় কি সাজে ? ” তিমুর স্ত্রী কিছুতেই ৰলে না, অনেক পীড়াপীড়ির পর কহিল “ বুঝতে পারলে না রাঙ্গা দিদি, যা না হলে রাম যাত্র হবার যো নাই। ” রাজেশ্বরী কহিল “ তিমু কি হনুমান সাজে ” তিমুর স্ত্রী কহিল “ ওগো হ্যা । * আজ আমার এদের কথা শুনে তিমুর স্ত্রীর কথা মনে পড়ে গেল । ইহার পর দেবগণ একটা দোকানে আহারের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। পিতামহ মাচের ঝোলের একটু হলুদ চাহিয়া লইয়া অগ্নিতে উত্তপ্ত করিয়া কোমরে দিতে লাগিলেন । ইন্দ্র কহিলেন “ ঠাকুর দা, কোমরে হলুদ দিচ্চেন কেন ? ” ব্ৰহ্মা । ভাই, ভাগলপুরের উচু নীচু রাস্তা চলে কোমরটা ভেঙ্গে গিয়াছে এমন সহরে রাস্তার অবস্থা অমন কেন ? উপ। কৰ্ত্ত জেঠা ! দেখুন রাস্তার ধুলায় আমার শাদা রেফার রাঙ্গা হয়ে গিয়াছে। আহারান্তে দেবগণ পুনরায় নগর ভ্রমণে বহির্গত হইয়া সাহেবগঞ্জে আসিয়া দেখেন, অনেক গুলি লোক দুঃখ প্রকাশ করিতে করিতে আসিতছে। তাহদের মধ্যে কেহ গোরুর খোরাক জন্য ঘাস কাটিয়া মাথায় করিয়া আনিতেছে। কেহ ভাগলপুর হইতে দূর দেশে যাইয়া খেস ও বাপ্ত। বিক্রয় করিয়া প্রত্যাগনন করিতেছে। কাহারও বা মস্তকে ফুল কপীর ডালা, কাহারে ঘাড়ে ত্রিশ সের ওজনের চাউলের বস্তা । ইন্দ্র। বরুণ ! উহার কারা ? বরুণ । দেশীয় খ্ৰীষ্টানের দল। এই সাহেগঞ্জেই দেশীয় খ্ৰীষ্টানের বাস
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।