& 8 o कक्लयज्ञ | করিয়া থাকে। ইহাদের দুরবস্থা প্রত্যক্ষ দেখিতেছ অতএব বর্ণনা করা নিম্প্রয়োজন। এখানে উহাদের উপাসনার জন্য একটা রোমান ক্যাথলিক চর্চ আছে । নারা। দুঃখ করতে করতে খ্ৰীষ্টানের প্রত্যাগমন করিল কেন ? বরুণ। তখন উহারা ভাবিয়াছিল আলোর মুখ দেখে মুখী হইবে । এক্ষণে অন্ধকারে আসিয়া বড় কষ্ট পাওয়াতে কাজেই দুঃখ করিতেছে। ক্রমে সকলে যাইয়া কোম্পানীর বাগানের নিকট উপস্থিত হইয়া দেখেন বাগানটা বহুদূর বিস্তৃত কিন্তু তাদৃশ শোভা সৌন্দৰ্য নাই। তাহারা উদ্যান ভ্রমণ করিতে করিতে একটা"মুন্দর অট্টালিকা দেখিয়া এক দৃষ্টে চাহিতে লাগিলেন । নারায়ণ কহিলেন “ বরুণ! সম্মুখে উচ্চ জমির উপর ঐ সুন্দর বাড়ীটী কাহার ? বরুণ। এখানকার একজন কৰ্ণেলের । তিনি অনেক অর্থ ব্যয়ে এই বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করেন। এমন সুন্দর স্থানে এ মন সুন্দর বাড়ী ভাগলপুরে আর দ্বিতীয় নাই। নিকটেই দেখ একটা মধ্যম গোচের জৈনমন্দির। অদ্যাপি উহাতে কয়েকজন জৈন বাস করিয়া থাকেন। এখান হইতে দেবতারা এক স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন স্থানটী বড় অপরিস্কৃত—কোন স্থান দিয়া ভাতের ফেন স্রোত বহিয়া যাইতেছে। কোন স্থানে তরকারির খোলা বাখলা স্তৃপাকার হইয়। জমিয়া রহিয়াছে। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এস্থানের নাম কি ? বরুণ । এস্থানের নাম মুনমুরগঞ্জ। ভাগলপুরে যে সমস্ত বাঙ্গালী বিষয় কৰ্ম্মোপলক্ষে আসেন, এই স্থানেই বাস করিয়া থাকেন। অনেকের ২ । ৩ পুরুষ এখানে বাস করিয়াছেন। এখানে প্রায় ১৫০ । ১৬০ ঘর আননজ বাঙ্গালী আছেন। তন্মধ্যে অধিকাংশই এখানকার একরূপ অধিবাসী হইয়া পড়িয়াছেন । ব্ৰহ্ম । এখানকার বাঙ্গালীরাও কি কেরাণীগিরি কৰ্ম্ম করেন ? বরুণ। আজ্ঞে, হ্যা ; তবে উকীলের ভাগই বেশী। ইন্দ্র । উকীলদিগের আচার ব্যবহার কিরূপ? নরুণ । অধিকাংশ উকীলই প্রায় যথেচ্ছাচারী। তবে তন্মধ্যে আবার কতকগুলি হিন্দুও আছেন। তাহার শ্রদ্ধা ভুক্তির সহিত বাড়ীতে দুর্গোৎ সব ও জগন্ধাত্রী প্রভৃতির প্রতিমূৰ্ত্তি পূজা করিয়া থাকেন।
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।