প্রতিবাদের প্রতিবাদ । &సిసి ণের যজ্ঞে ব্ৰহ্মার হৃৎপদ্ম হইতে ভৃগুমুনি উৎপন্ন হন । এই প্রবাদ সত্য না হউক, বশিষ্ঠের বহুকাল পরে ভৃগুমুনি যে জন্ম লইয়াছিলেন, তুহি জানা যাইতেছে। এখন পাঠক ! স্থির করুন বাল্মীকি হইতে উৰ্দ্ধতন কত পুরুষ পূৰ্ব্বে ব্যাস ভূতলে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। যাদব বাবু এখন অবশ্যই স্বীকার করিবেন, রামায়ণ-লেখক অপেক্ষ মহাভারত-লেখক প্রাচীন লোক । আমরা পূৰ্ব্বে স্বীকার করিয়াছি, মহাভারতমধ্যে বাল্মীকির নাম কেছ যত্নপূর্বক সন্নিবেশিত করিয়া দিয়াছেন। প্রকৃতপক্ষে তাহ বাসের গ্রথিত নহে । শাস্ত্রকারের ও পুরাণলেখকের নিজ মতের গৌরব বাড়াইবার জন্য স্ব স্ব লিপিত পুস্তক প্রাচীন বলিয়া প্রমাণ করিতে চান। কেহ নিজের লিখিত পুস্তকে কোন প্রসিদ্ধ ব্যক্তির নাম সংযোগ করিয়া দেন, কেহ স্বরচিত শ্লোক অন্যের পুস্তকে সন্নিবেশিত করেন,-এ প্রথা আমাদের দেশে বহুকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে। উত্তরকাণ্ড রামায়ণ বাল্মীকি প্রণীত রামায়ণে মিলিত করা হইয়াছে, অষ্টাদশ পুরাণ ব্যাসের নামে চলিয়া আসিতেছে। অধিক দূর যাইতে হইবে কেন ? সে দিন কলিকাতার ঐযুক্ত নন্দকুমার কবিরত্ন চোরপঞ্চাশং বাঙ্গাল পদ্যে অনুবাদ করেন। তৎপরে সংবাদ প্রভাকরের সম্পাদক ঐ অনুবাদ রায়গুণাকরের বিদ্যাসুন্দরের সঙ্গে এমন কৌশলে গাথিয়া দিয়াছেন যে, অনেকেই ঐ অনুবাদকে ভারতের কৃতি । বলিয়া জানেন । মহাভারত একগানি ঐতিহাসিক বিবরণ সংগ্রহ পুস্তক । ( Historical Magazine) উহার সমগ্রভাগ কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের রচিত নহে। উত্তরকাণ্ড যেমন রামায়ণের সঙ্গে গাথিয়া দেওয়া হইয়াছে, মহাভারতেও সেইরূপ উত্তরোত্তর অনেক অভিনব বিষয় সন্নিবেশিত হইয়াছে। শান্তিপৰ্ব্ব পাঠ করুন, স্পষ্ট প্রতীয়মান হইবে, উহা একজনের রচিত নহে। আবার স্বৰ্গারোহণপৰ্ব্ব দেখুন, স্পষ্ট বুঝিতে পারিবেন যে, মহাভারতের ঐ সকল অংশ এমন সময়ে গ্রথিত হইয়াছে যৎকালে এখনকার মত পুরাণ পাঠের প্রথা হিন্দুসমাজে চলিত হইয়াছিল । বর্তমান মহাভারতের সমগ্র অংশ ব্যাসের রচিত নহে, তাহার বিস্তর প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রথমতঃ দেখুন, বৃহস্পতিপত্নী তারার গর্ভে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। সেই বুধ হইতে ৪৭ সাতচল্লিশ পুরুষ পরে যুধিষ্ঠিরাদি অব
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।