দেবগণের মর্ত্যে আগমন । \s\న দর উঠিয়াছে, তত্ৰাপি একজন চাপরাশী স্থাকিতেছে—“ এক হাজার দশ টাকা এক দে৷ ” আমি এক জন धूलि “श्य श्य श्य श्म, श्म” भत्क छाप्न ঘা মারিতেছে ! o ব্ৰহ্মা । বরুণ ! এখানে কি হচ্চে । বরুণ। যে বাবুর বাড়ী, তিনি দেনা করায় দেনদীর টাকা আদায়ের জন্য নালিশ করিয়া বাড়ী ঘর নীলামে বিক্রয় করিয়া লইতেছে । নারা । এমন দেনা করতে হয়, যাহাতে বাড়ী ঘর বিকায়ে যায়। বরুণ ! এ বাবুর এত দেন। কিসে হল ? বরুণ । বাবুটী বড় বেশ্য ভাল বাসেন । এভ ভাল বাসেন যে একটী বেশ্যাকে বেতুন দিয়া একচেটিয়া করিয়া রাখিয়াছিলেন। ক্রমে বাবুর যাহ। কিছু নগদ পুজি পাট। ঐ বেশ্য গ্রাস করিল, তথাপি বাবুর চক্ষু ফুটিল না, আবার যাতায়াত করিতে লাগিলেন । এবার বেশাটী উহার হাতে কিছু নগদ নাই দেখিয়া প্রত্যেক রজনীতে এক এক খানি খত লিখিয়া লইত । এইরূপে খত সংখ্যা বেশী হইল, এক্ষণে সমস্ত টাকার দাবিতে নালিশ করিয়া ভিটাস্থ ঘুঘুস্থ করিতেছে। ● নারা । বেশ করছে! বেশ্যমাগী মিনষেকেও কিনে নিয়ে খাদী করে ছেড়ে দেক যে, অন্য পাটাদের জ্ঞান জন্মাক । ব্ৰহ্মা । বরুণ ! পৃথিবীতে এ হলো কি ? বরুণ। এইরূপই দুনিয়ার গতিক । পিতামহ। ওদিকে ঐ যে একটা ক্ষুদ্র আকারের পুষ্করিণী দেখিতেছেন উহার নাম বাহির সর্বমঙ্গলার পুষ্করিণী। উহার জল বড় চৎকার। জল খারাপ হইবার আশঙ্কায় কাহাকেও স্নান করিতে কিম্বা বস্ত্রাদি ধৌত করিতে দেওয়া হয় না । নগরের যাবতীয় লোক এই পুষ্করিণী হইতেই জল লইয়া পান করে। এখান হইতে দেবগণ রাজার হাতিশালার নিকট উপস্থিত হইয়। দেখেন ১০ । ১৫ টা হাতি রহিয়াছে। তৎপরে তাহারা আর একটা পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইয়া সবিস্ময়ে চারি দিকে চাহিতে লাগিলেন । ইন্দ্র । বরুণ ! আমার অনেক পুষ্করিণী জাছে সত্য ; কিন্তু এমন সুন্দর ও বৃহদাকার পুষ্করিণী ত রাজ্য মধ্যে নাই। পুষ্করিণীটা এত বৃহৎ যে পরপারের মনুষ্যগুলিকে ক্ষুদ্র বলিয়া বোধ হইতেছে। এ সরোবরটর নাম কি বরুণ ?
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।