| কল্পদ্রুম سر ۹ رای গুণ তৰু কোথাও যায় না। যদি জলপ্রবাহটুকু থাকে, গঙ্গাদেবী পতিত জনকে উদ্ধার না করুন, অনেকের অন্ন জলের সংস্থান হইয়া থাকিবেন। ধীবরের মৎস্য ধরিবে, নাবিকেরা নৌকাৰ্য্য করিবে, স্রোতোজল পান করিয়া লোকের জীবন রক্ষা হুইবে । اسسسسسسسسسسسسحومسسسسسسسسسسسسسسسس ইন্দ্ৰধনু । প্রিয় দর্শন ! তুমি আকাশে নানা বর্ণের চিত্রবিচিত্র ধমুরাকৃতি একটা পদার্থ দেখিতে পাও, তাহাই ইন্দ্ৰধনু । লোকে উহাকে রামধমুও বলে । চন্দ্র স্বৰ্য্য গ্ৰহ নক্ষত্রাদির ন্যায় উহা প্রত্যহ আকাশে উদিত হয় না । ইন্দ্ৰধনু উদয়ের নির্দিষ্ট কাল নাই। কতক কারণ একত্র মিলিত হইলে উহ মনুষ্যের দৃষ্টিগোচর হয়, উহার রূপ ও বর্ণ আছে বটে, কিন্তু বস্তু তঃ উহ। किहूद्दे नरश् । ধনুকট কেমন মুন্দর দেখিয়াছ ? তাহার সৌন্দর্য্যের কোথাও তুলনা আছে বলিতে পাৱ ? যদি না পার, তোমাকে বলিয়া দিই। স্বভাবের অঙ্গে তাহার পূর্ণ তুলনা ; ভাবুকের কল্পনায় তুলনার আভাস মাত্র ;–চিত্রকরের তুলিকায় সে সৌন্দর্য্যের চিত্র উঠে না । আজ এই ইন্দ্ৰধনু উপলক্ষে তুমি অনেকগুলি প্রাকৃতিক নিয়ম বিদিত হইবে। প্রতিদিন তোমার চতুর্দিকে স্বষ্টির অনেক কাজ দেখিতেছ। পবনভরে বৃক্ষ শাখা আন্দোলিত হইতেছে, শে শে। হু হু শব্ব করিতেছে, ঝর ঝর করিতেছে। বিদ্যুৎপূর্ণ ধূসর জলধর চক মক করিতেছে, কড় কড় করিতেছে, ঝুপ ঝুপ চড় চড় করিয়া বৃষ্টিধারা বর্ষিত হইতেছে ; প্রবাহ বহিয়! যাইতেছে ; নদীতে তরঙ্গ খেলিতেছে। ছোট বড় ঢেউ উঠিতেছে ডুবিতেছে, উলটি পালটি থাইতেছে, তটে লাগিয়া ছিটকাইতেছে—এ সকল চক্ষের উপর সর্বদাই দেখিতে পাও । প্রত্যক্ষ বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই, অতএব যাহাকে যেরূপে দেখিতেছ, তাহাকে তদ্রুপই বিশ্বাস করিয়া লইতেছ। কিন্তু প্রত্যক্ষ জ্ঞানও ভূরিদ্রাস্তিসঙ্কুল, তাহাতেও তোমার বিস্তর ভ্রম থাকিয়া যাইতেছে। যাহাকে তুমি বর্ণহীন দেখিতেছ, হয় ত তাহাতে সকল বর্ণই বিদ্যমান আছে । যাহাকে চলিতেছে দেখিতেছ, হয় ত তাহা নিশ্চল। এই ইন্দ্রপুকুর আকার, প্রকৃতি,ও বর্ণবিভাতির কারণ বিস্তারিতরূপে লিখিতেছি, তাহা পাঠ করিয়া চমৎকৃত হইবে।
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।