পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭-8 { কল্পদ্রুম | শ্রেণীর পর আর এক শ্রেণীতে ক্রমান্বয়ে ঐ কিরণ প্রতিফলিত ও বক্র বিভাসিভ হইতে চাইতে বহুসংখ্যক ধন্থর স্মৃষ্টি হইতে পারে। কিন্তু, আমরা দুটার অধিক ধন্থ প্রায় দেখিতে পাই না। কি কারণে তদধিক ধনু দেখিতে পাওয়া ধায় না, এই দুজ্ঞেয় তত্ত্বের মৰ্ম্মভেদ এ পর্য্যস্ত হয় নাই । স্বৰ্য্যদেব উদয় কিম্বা অস্তাচলে সন্নিহিত থাকিলে ধনু উঠিতে দেখা যায় এবং স্বৰ্য্য কিঞ্চিৎ উচ্চে উঠিলে ইক্সধনু নিম্নভাগে দৃষ্ট হয়। স্বৰ্য্য অধিক উচ্চে উঠিলে আর ধনুক দেখিবার যো নাই । সে কারণ দুই প্রহরের সময় কেহ কথন রামধনুক দেখে নাই। স্বৰ্য্যমণ্ডল ৪২ ডিগ্রি ৩০ মিনিট উদ্ধে উঠিলে মৃত্তিকার উপর দাড়াইয়া রামধনুক দেখা যায় না । সে সময় ইন্দ্ৰধনু দেখিতে অভিলাষ করিলে উচ্চ মন্দিরাদির চুড়ায় উঠিতে হুইবে । প্রিয়দর্শন ! বোধ করি ভুমি তেমন শোভা কখন দেখ নাই। তুমি চারি দিকে দেখিবে, ইন্দ্ৰধনু একটী গোলাকার চক্র পৃপিবীকে পরিবেষ্টন করিয়া রছিয়াছে । বৃষ্টি না হইলেও আমরা সকল সময়েই রামধন্থ দেখাইতে পারি। মুখ মধ্যে জল লইয়া ফুৎকার করিলে আকাশের ইন্দ্ৰধনুর ন্যায় সেই জলবিন্দু তেও বিচিত্র একটী ধনুক দৃষ্ট হইবে । রাত্রিকালে প্রদীপের আলোকেও ঐ রূপ জলের ফুৎকার দিলে ধনুক দেখা যায় । রামধনুকের বর্ণগুলির কথা আমরা এখানে উল্লেখ করিলাম না । তাহাতে কঠিন বৈজ্ঞানিক ও রাসায়নিক নিয়মের সংস্রব আছে। অতএব তাহা সাধারণ পাঠকের পক্ষে বুঝিতে বড় দুষ্কর হইবে । এজন্য আজ আমরা এই খানে প্রস্তাব শেষ করিলাম । سسسسسسسسسو هسسسسسسسس-- হিন্দুদিগের বহির্বাণিজ্য । শেষ—প্রস্তাব । প্রাচীন হিন্দুগণ বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয় কৰ্ম্ম উপলক্ষে যে অতি প্রাচীন সময়ে পৃথিবীর চারি মহাদেশের তৎকাল পরিচিত অধিকাংশ সুসভ্য জনপদ মণ্ডলীতে গমনাগমন করিতেন, তাহা পূৰ্ব্ব পূর্ব প্রস্তাবে একরূপ দেখান হইয়াছে'। এক্ষণে যে জাতি বাণিজ্যকেই ধনাগমের ও দেশের উন্নতির মুল কারণ বলিয়া অবগত ছিলেন ; যাহাদের বাণিজ্য-পোত-সকল বিবিধ বাণিজ্য দ্রব্যে পরিপূর্ণ হইয়া বিশালৰারিধিবক্ষ উল্লঙ্ঘন করিয়া অতি দূরত্র t