হিন্দুদিগের বহিৰ্ব্বাণিজ্য । やb-a বিভিন্ন বিভিন্ন জাতির সহিত ঘনিষ্ঠত প্রায় দূর হইয়াছে। স্বহস্তে বাণিজ্য পোত নিৰ্ম্মাণ করা দুরে থাকুক, আমরা সামান্য একটা সূচির জন্যও পরমুখ-প্রত্যাশী থাকিতে ভাল বাসি। সে চিত্র, স্থপতি ও ভাস্কর নিৰ্ম্মিত বাণিজ্যদ্রব্যসকল প্রায় লোপ হইয়া গিয়াছে। বহিৰ্ব্বাণিজ্য একবারে নাই, বলিলেও অসঙ্গত হয় না। ধনরত্নও ক্রমে ক্রমে দেশ দেশাস্তরে রপ্তানি হইয়া ভারতকে এক্ষণে অন্তঃসারশূন্য করিয়া ফেলিয়াছে । বাণিজ্যের মধ্যে বাণিজ্য এই নাম মাত্র আছে। চলুন এই—নাম-উপলক্ষ্য করিয়া আমাদের বর্তমান বাণিজ্যব্যবসায় কিরূপ একবার অনুসন্ধান করিয়া দেখি। দূর হইতে অমুসন্ধান করিয়া দেখিতে দোষ কি ? নিকটে না যাইলেই হইল ! ! কিন্তু দেখিব কি ? পূৰ্ব্বেষ্ট বলিয়াছি দেখিবার কিছুই নাই। ওই যে উত্তালতরঙ্গময়—ভাগীরথীবক্ষে শত শত বাণিজ্য-দ্রব্য পূর্ণ বিবিধ বর্ণের চিত্র-বিচিত্র পতাকা বিশিষ্ট অর্ণবপোত সকল দেখিয়া নয়ন ও মন মুগ্ধ হইতেছে, ও সকল কাহীদের ? উহাদের মধ্যে কয়খানি আমাদের আছে ? কয়খানি আমরা স্বহস্তে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছি ? একখানিও ত নয়। ওই যে ভারতের মধ্য প্রদেশে নাগপুর প্রভৃতি স্থানের বিস্তীর্ণ ভূমিখণ্ডে কাপাসবৃক্ষসকল জন্মিয় রহিয়াছে, উহাও আমাদিগের নহে । আমাদের হইলে আমরা কেন লজ্জা দ্বিারণের জন্য ম্যাঞ্চেষ্টারের বণিকগণের বস্ত্রের কল ঘরের দিকে এক দৃষ্টে তাকাইয়া থাকিব ? এইরূপ সকল দ্রব্যই। অধিক বলিতে চাহি না, শেষে কি দেপাতে গিয়া আপনাদের অপ্রিয় হইয়া পড়িব । তাই বলি এ কথ এখানেই শেধ হইলে ভাল হয়। ফলকথা আমাদের বর্ধমান অবস্থা অতীব শোচনীয়। কাল আমাদিগের প্রতি এক্ষণে বক্র । তাহ না হইলে সভ্য উদার ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টআমাদিগকে প্রাণ ভরিয়া কাদিতেও নিষেধ করিবেন কেন ? কালচক্রের কুটিল আবর্তনে সেই ভারত-প্রতিধ্বনিত “ বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ “ এই স্বাধীনতার ও হৃদয়ের উত্তেজক বীজমন্ত্র ভারতবাসীর অদৃষ্টদোষে কাল-চক্রের নিম্নভাগে পড়িয়া গিয়াছে । এখন তৎপরিবর্তে “ হা অল্প হা ভিক্ষাবৃত্তি ! . এই হৃদয়বিদারক চীৎকারশব্দে কুমারিকা হইতে হিমাচল পৰ্য্যস্ত ভারত ভূমি অবিচ্ছিন্ন পরিপূরিত হইতেছে । র্যাহার এই ছৱন্ত কাল-চক্র, সেই অনাদি অনন্ত ঈশ্বরই অবগত আছেন, কত দিনে আবার ভারতের সুপ্রভাক্ত হইয়া এই বর্তমান হৃদয়বিদারক ধ্বনি কালচক্রের নিয়ে পড়িয়া যাইবে, এবং পুন
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৬৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।