দেবগণের মর্ত্যে আগমন. ৭২৫ ব্ৰহ্মা। ভারতচন্দ্র রায়ের বিষয় আমাকে সংক্ষেপে বল । বরুণ । ইনি ১১১৯ সালে ( ১৭১২ খৃঃ অব্দে) বৰ্দ্ধমান জেলার অন্তঃপাতী ভূরস্কট পরগণার মধ্যে পাণ্ডুয়া নামক গ্রামে ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম নরেন্দ্রনারায়ণ রায়। বৰ্দ্ধমানের রাজা কীৰ্ত্তিচত্রের মাতার জমিদারি সম্বন্ধে নরেন্দ্রনারায়ণের সহিত বিবাদ হওয়াতে র্তাহার বাড়ী ঘর লুঠ করিয়া যথাসৰ্ব্বস্ব হরণ করেন। পিতা নিঃস্ব হইলে ভারতচন্দ্র মাতুলালয়ে যাইয়া বাস করিতে লাগিলেন। ইহার পর তিনি বিশেষরূপে পারসী ভাষা শিক্ষা করি নানা স্থানে ভ্রমণ-পূর্বক পরিশেষে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নিকট ৪০ টাকা বেতনে একট. কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। তিনি দুটা করিয়া কবিতা রচনা করিয়া রাজাকে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় শুনাইতেন। রাজা তাহার কবিতা প্রবণে সন্তুষ্ট হইয়া “ রায় গুণাকর • উপাধি প্রদান করেন । এবং অন্নদামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দর লিখিতে আজ্ঞা দেন । ইহার প্রণীত “ নাগাষ্টক " নামক আটটা কবিতা বিশেষ প্রশংসা যোগ্য। ইনি সংস্কৃত, পারসী, হিন্দি ও ব্রজ বুলিতে অনেকগুলি কস্তিতা লিখিয়াছিলেন। ১১৬৭ সালে ( ১৭৬০ খৃঃ অব্দে ) ৪৮ বৎসর বয়ঃক্রম কালে ইহার মৃত্যু হয়। ইনি বালক কালে বড় কষ্ট পান। অল্প বয়সেই পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করিয়া পরপ্রত্যাশী হন। অনেক সময় সামান্য শাক ভাতও ইহার ভাগ্যে জুটে নাই। তত্ৰাপি অনেক কষ্টে বিদ্যা শিক্ষা করেন। একবার মোক্তারি করিতে যাইম ফাটকেও গিয়াছিলেন । এখান হইতে দেবগণ পূৰ্ব্ব মুখে যাইয়৷ বৰ্ণক পার যাইয়া সৰ্ব্বমঙ্গলার ঘাটে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন পিতামহ ! ঘাটের পশ্চিম পাশ্বের্ণ একটা কণমান রহিয়াছে দেখিতেছেন। ঐ কামানটা প্রতিবৎসর দুর্গোৎসবের সময় মহাষ্টমী পূজার দিন সন্ধি পূজা আরম্ভ হইলে একবার করিয়া দাগ হয়। ইন্দ্র। সম্মুখের ঐ পাঁচ চূড়া ৰিশিষ্ট মন্দিরটা কি ? বরুণ । ঐ সৰ্ব্বমঙ্গলার বাড়ী। ' দেবগণ ইহার পর সর্বমঙ্গলার বাড়ীতে প্রবেশ করিলেন। প্রথমতঃ র্তাহার সিংদরজা দিয়া প্রবেশ করিয়া একটা বাগান বাটতে उँभश्डि कुछ्रे प्राँ কতকগুলি শিবমন্দির দেখিলেন । তৎপরে ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখেন, দেবীমূৰ্ত্তি মন্দিরে বিরাজ করিতেছেন। মন্দিরের সন্মুখস্থ নাটমন্দিরে অন
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।