ংস্কৃত লিপিকাল সম্বন্ধে মোক্ষমূলারের মত খণ্ডন ৭৪৭ তাহা জানিবার উপায় নাই। আবার দেখুন সকলে ৰলিয়া থাকেন, “ ব্ৰহ্মার বেদ ” । তবে কি কমলযোনি বেদের রচয়িত ? মহর্ষি পরাশর সে সন্দেহও নিরসন করিতেছেন। . তদীয় সংহিতায় छूठे शब्ल,“ন কশ্চিং বেদকর্তৃ চ বেদম্মৰ্ত্ত চতুৰ্ম্ম খঃ”। বেদের প্রণেতা কেহই নহেন, চতুৰ্ম্ম খ ব্ৰহ্মা বেদের স্মরণ কর্তা। অতএব দেখুন, পূৰ্ব্বাপর সকলেই বৈদমন্ত্র অভ্যাস করিয়া মাসিতেছেন কেবল তাহারই ভূরি প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে । মহর্ষি বেদব্যাস দ্বাত্রিংশৎ লক্ষ অক্ষর বিশিষ্ট একলক্ষ শ্লোকাযুক বেদমন্ত্র সঙ্কলন করিয়া ব্রহ্মার নিয়োগায়ুসারে তাহাকে চারিভাগে বিভক্ত করেন । কিন্তু, কলির প্রাদুর্ভাবে’মনুষ্য ক্রমশঃ হীনবীৰ্য্য ও অল্পায়ুঃ হইয়া পড়িতেছেন। পূৰ্ব্বের ন্যায় কেহই চতুৰ্ব্বেৰ কণ্ঠস্থ করিতে পারেন না, অতএব বেদ রক্ষার উপায় কি ? এইরূপ পর্যালোচনা করিয়া তিনি চারি জন বেদপারগ শিষ্যকে এক এক বিভাগে দীক্ষিত করিলেন । ইহাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, বেদ লিখিত থাকিলে তাহ নষ্ট হইবার কোন সম্ভাবনা ছিল না । বেদমন্ত্র লিপিবদ্ধ করা যে নিতান্ত অবৈধ কৰ্ম্ম মহাভারত্নাদিতে তাঙ্গর স্পষ্ট উল্লেখ আছে— বেদবিক্রয়িণশ্চৈব বেদীনাঞ্চৈব দুষকাঃ । বেদানং লেখক"শ্চৈব তে বৈ নিরয়গামিনঃ ॥ 穩 অনুশাসন পৰ্ব্ব ১৬৪৫ । যাহারা বেদ বিক্রয় করেন, বেদবিরুদ্ধ কৰ্ম্ম করেন এবং বেদ লেপেন তাহারা নরকগামী হন । তন্ত্রাদিতেও ইহার প্রতিষেধ বাক্য দৃষ্ট হয় – বেদস্য লিখনং কৃত্বা যঃ পঠেৎ ব্রহ্মহা ভবেৎ। পুস্তকং বা গৃহে স্থাপ্য বজ্রপাতো ভবেৎ ধ্ৰুবং । যিনি বেদ লিখিয়া পাঠ করেন তাহার ব্ৰহ্মহত্যার পাতক হয় এবং বেদপুস্তক গৃহে থাকিলে নিশ্চিত বজ্রপাত হয় । মহর্ষি বেদব্যাস অতি প্রচীনকালের লোক। সচরাচর তিনি যে সময়ের ঋষি বলিয়া সাধারণ্যে পরিচিত আছেন, তদপেক্ষাও তিনি প্রাচীনতর। প্রকৃত মহাভারতখানি সঙ্কলন কালে এ দেশে লিপি-প্রণালী'প্রচলিত ছিল কি না, তদ্বিষয়ে বিস্তর সন্দেহ আছে । মহামুনি ব্যাস প্রণীত ভারত পঞ্চম বেদ বলিয়। উল্লিখিত হইয়াছে ।
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।