ዓ8bም কল্পদ্রুম | বেদানধ্যাপয়ামাস মহাভারতপঞ্চমান। স এব পঞ্চমাবেদো যন্মহাভারতং বিহুঃ। মহাভারত পঞ্চম বেদ,মহাভারত সহিত পঞ্চ বেদ পাঠ করাইয়াছিলেন। মহাভারতের অধিকাংশ স্থল ব্যাসের পরবর্তী ঋষিদিগের বিরচিত, অত: এব কোন অংশটুকু ব্যাসের গ্রথিত এক্ষণে তাহার উদ্ধার করা মুসাধ্য নহে। যাহা হউক, ভারতের উপক্রমণিকা ভাগ পাঠ করিলে স্পষ্ট প্রতীতি জন্মে যে, কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস লিপি-কৌশল অবগত ছিলেন না । কথমধ্যাপয়ানীহ শিষ্যানিতান্বচিন্তয়ৎ । ব্যাস মহাভারত রচনা করিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন যে, তিনি শিষ্যদিগকে উহা কিরূপে অধ্যয়ন করাইবেন। . কি নিমিত্ত তিনি শিষ্যদিগকে মহাভারতের উপদেশ দিতে অশক্ত হইতেছেন, ভগবান ব্রহ্মাকে তাহার কারণ জানাইলেন— পরং ন লেখকঃ কশ্চিদেতসা ভূবি বিদ্যতে। কিন্তু পৃথিবীতে তাহার লেখক কেহই নাই। ব্যাস মনে মনে আলোচনা করিয়া মহাভারতের কবিতাগুলি রচনা করিয়াছিলেন । ৰোধ হয় বেদের ন্যায় ইহাও গুরুমুখে শুনিয়া শিষ্যেরা অভ্যাস করিতেন । অতঃপর লিপি প্রণালী প্রচলিত হইলে ব্যাসের পরবর্তী ঋষিগণ মহাভারত পুস্তকাকারে সঙ্কলন করেন। ভারতের উপক্ৰমণিকা ভাগ দৃষ্টে এই পৰ্য্যন্ত অনুমান করা যায়। প্রত্যুত, ঐ অংশ ব্যাসের রচিত নহে তাস্থাতে সন্দেহ মাত্র নাই । উপরের উদ্ধত শ্লোকগুলি দ্বারা তার অধিক কি বলা যাইতে পারে ? প্রাচীন আৰ্য্য ঋষিগণ লিখিতে জানিতেন, যুক্তি ভিন্ন বিশেষ প্রমাণ দ্বারা ইহ প্রতিপাদিত হয় না। ঋষিগণ কোন বিষয়ের পল্লবগ্রাহী ছিলেন না । শাস্ত্রালাপ বিদ্যাভ্যাস এবং সং চর্চ র্তাহাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু কঠিন শাস্ত্রের অনুশীলন করা নিশ্চিন্ত লোকের কৰ্ম্ম। আর্য্য ঋষিদের তত দূর অবসর ছিল না । ফল মূল আহরণ গোচারণ প্রভৃতি সাংসারিক কাজে তাহাদিগকে ব্যাপৃত থাকিতে হইত। ঋগ্বেদ পাঠ করুন, ঋষিগণ সৰ্ব্বদাই কত সশঙ্কিত থাকিতেন, বুঝিতে পাfরবেন । যখন দম্য ভয়ে ভীত হইয়া সোমরসহস্তে বজ্রপাণি ইন্দ্রকে আহবান করিতেছেন, কখন অন্ন জলের নিমিত্ত দেবতাদের স্তুতি করিতেছেন। ফলতঃ, তৎকালে শত্রুর
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।