হিন্দুদিগের বহিৰ্ব্বাণিজ্য। b-> গুহাদের সে বিবেচনা নিশ্চয়ই ভ্রমপ্রমাদ-পরিপূর্ণ। শিক্ষণ ও বহুদৰ্শিতা ভিন্ন কখনই কোন কাৰ্য্য সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দরূপে সম্পন্ন করা যাইতে পারে না। বৈশ্য. গণ যে বাণিজ্যাদি করিতেন, তাহারাও রীতিমত শিক্ষালাভ করিতেন। হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রে ইহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। ময়ু বৈশ্যগণকে নিম্নোঙ্কত বিষয়সকল শিক্ষা করিতে বলিয়াছেন। যথা:– । সারাসারঞ্চ ভাণ্ডানাং দেশানাঞ্চ গুণগুণান, লাভালাভঞ্চ পণ্যানাং পশূনাং পরিবর্দ্ধনং ॥ ভূ ত্যানাঞ্চ ভূতিং বিদ্যাৎ ভাষাশ্চ বিবিধানৃশ্লtং । দ্রব্যাণাং স্থানযোগাংশ্চ ক্রয়বিক্রয়মেব চ | মন্ত্র ৯ । ৩৩১ ৷৷ ৩৩২ ৷ পণ্যদ্রব্যের সার-আসার বা উৎকর্ষপকর্ম, দেশবিদেশের গুণাগুণ, লাভালাভের বিষয়, পশুদিগের উৎকর্যসাধন, ভূ ত্যদিগের ভূতি, বিভিন্নরাজ্যের বিভিন্ন বিভিন্ন ভাষা, দ্রব্যসমূহের স্থানযোগ এবং ক্রয় বিক্রয় রীতি ইত্যাদি। এ সকল শিক্ষা সহজ শিক্ষা নহে। বিচারপণ্ডিত পাঠক! আপনারা বিবেচনা করিয়া বলুন দেখি, এ সকল শিক্ষা কি অল্পকালসাধ্য বিষয় ? ১ম, দ্রব্যের উৎকর্ষপকর্ষ শিক্ষা । বৈশ্যগণ যখন কৃষিব্যবসায়ী ছিলেন, তখন কোন ক্ষেত্রে কিরূপ সার প্রদান করিলে কোন দ্রব্যের উৎকর্ষ সাধন হইতে পারে, কোন টাই ব। অপকর্ষলাভ করে, কোন টাই বা উৎকৃষ্ট কোন টাই বা অপকৃষ্ট ইত্যাদি জানিতে ও শিক্ষা করিতে হইত। কৃষিকার্য্যের উন্নতি হইলেই কাজে কাজে বাণিজ্যের ও উন্নতি হয়। উদ্ভিদ সগর সংগ্ৰহ করিতে ও দ্রব্যের বিচার করিতে না জানিলে দ্রব্যের উৎকৰ্ষাপকর্ষ সম্পাদন করিবার ক্ষমলু জন্মে नी ! অতএব বৈশ্যগণকে কিছু কিছু উদ্ভিদ বিদ্যা botany ও বস্তুবিচার Physio logy শিক্ষা করিতে হইত। ২য়, দেশবিদেশের গুণাগুণ শিক্ষা । কোন দেশে কোন বাণিজ্যদ্রব্য কিরূপ উৎপন্ন হয়, সেখানে তাহার মূল্যই বা কত, সেখান হইতে দ্রব্যাদি স্বদেশে কি বিদেশে লইয়া যাইবার সুবিধা হইতে পাপ্লিবে কি না ; সে দেশে কোন দ্রব্য অধিক পরিমাণে বিক্রীত হয়, তাহার জল বায়ু কিরূপ, অধিবাসিগণের স্বভাবই বা কিরূপ ইত্যাদি শিক্ষা করিতে হইত ও সময়ে সময়ে বাণিজ্যকাৰ্য্য স্বহস্তে গ্রহণ ( × )
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।