দৈহিক উন্নতি । সুন্ম বস্ত্র পরিধান করেন, তিনি তত আপনাকে সৌভাগ্যশালী মনে করেন। স্থল বস্ত্র পরিধানের ব্যবহার না থাকাতে যে অনিষ্ট ফল হব, আমর পর্যাকালে তাহ বিলক্ষণ প্রত্যক্ষ করিয়া থাকি। বর্ষাকালে প্রায়ই পূৰ্ব্ব বায়ু প্রবাহিত হয়। ঐ বায়ুকে রোগের আকর বলিলে অত্যুক্তি হয় না। ঐ বায়ুর উপদ্রব নিবারণ করিতে পারে, আমরা এরূপ বস্ত্র পরিধান করি না, গায়েও কাপড় দি না । এই নির্মিত্তই বর্ষাকালে বঙ্গদেশে পীড়ার এত প্রাদুর্ভাব দৃষ্ট হয়। আমরা যদি ঐ সময়ে স্থল বস্ত্র দ্বারা গাত্র আচ্ছাদন করিয়া রাখি, এত পীড় ভোগ করিতে হয় না । * অতি প্রত্যুষে শয্যা পরিত্যাগ করা এবং রাত্রিতে সকাল সকাল শয়ন করা স্বাস্থ্যের পক্ষে মহা অনুকুল । স্মৃতিকারের কন্ধিয়াছেন “ ব্রান্ধে মুহূর্বে বুদ্ধোত “ ব্রাহ্ম মুহূর্বে জাগরিত হইৱে। রাক্রিচারি দণ্ড থাকিতে ব্রাহ্ম মুহূৰ্ত্ত হয়। ইউরোপীয় পণ্ডিতেরাও স্বাস্থ্য রক্ষার্থ অতি প্রত্যুষে গাত্রোথন করিবার উপদেশ দিয়াছেন। প্রাচীন আর্ঘ্যের চারি দণ্ড রাত্রি থাকিতে শয্যা হইতে উঠিয়া প্ৰাত:কৃত্য সমাপন করিয়া দূরবর্তী গঙ্গা বা নদীতে গমন কৱিতেন এবং স্রোতোজলে স্নান করিয়া পুষ্পাদিচয়নে প্রবৃত্ত হইতেন । এই দীর্ঘ ভ্রমণ এবং স্রোতোজলে অবগাহন ও সুগন্ধি পুষ্পের ঘ্রাণে প্তাহীদের শরীর ও মন পুলকিত হইত। তাহারা বিলক্ষণ স্বাস্থ্য-সুখ ভোগ করিতেন । এখন দেখিতে পাওয়া যায়, উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের লোকেরপ্রভাতে দূরবর্তী গঙ্গাস্নান করিয়া আইসে। उाशैत्व अना अन, नियम স্বাস্থের নিয়ম লঙ্ঘন করিলেও এই এক গুণে স্বাস্থ্য-মুখে বিলক্ষণ স্থথিত হইয়া থাকে। স্বাস্থ্য নিয়ম প্রতিপালন করিলে যে কেবল দৈহিক উন্নতি হয় এরূপ }য়, মনও বিলক্ষণ উন্নতি লাভ করিয়া থাকে। মুস্থ অবস্থায় যদি মনকে শিক্ষিত করিবার চেষ্টা করা যায়; সে শিক্ষা শীঘ্র ফলোপধায়িনী হইয়া উঠে । একজন ইউরোপীয় পণ্ডিত কহিয়াছেন ঃ– . স্বাস্থ্য বিধায়ক শাস্ত্রের যদি দূরতর অর্থ গ্রহণ করা যায়, তাহ মুন ও শরীর উভয়ের সম্পূর্ণ উন্নতিধায়ক নিয়ম জানাইয় দেয়। মন ও শরীর এ উভয়কে স্বতন্ত্র করা সাধ্যায়ত্ত নয়। প্রত্যেক মানসিক ও ধৰ্ম্মনৈতিক ক্রিয়া দ্বারা শরীর যেমন পুষ্ট ও পরিচালিত হয়, মনও তেমনি শারীরিক অবস্থার দ্বারা সম্পূর্ণ পৃষ্ট ও পরিচালিত হইয়া থাকে। স্বাস্থ্যবিধান প্রণালীকে পূর্ণ
পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।