পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব । । - Xb-5) প্রকার যতগুলি দীঘ নিদ্রার বৃত্তাস্ত পাঠ করা যায়, কোন স্থলে নিদ্রিত ব্যক্তি অনাহারে কৃশ হয় নাই। দীঘ সময়ের মধ্যে মলমূত্রও যাহা ত্যাগ করিয়াছিল, তাহা ধৰ্ত্তব্য নয় । শরীরের উপর গাঢ় নিদ্রা যে কিরূপ কাৰ্য্য করিয়া থাকে, ইহার দ্বারা তাহা বিলক্ষণ সপ্রমাণ হইতেছে । মুঘুপ্তির সময়ে সমস্ত দৈহিকক্রিয়া নিস্তেজ ও শিথিল হইয়া পড়ে । শ্বাস প্রশ্বাস মৃদু মৃদু বহিতে থাকে, রক্ত সঞ্চালন মন্দগামী হয়, সুতরাং প্রস্রবণ ও মিশ্রবণ ও সে স্বল্প হইবে, তাহা অসম্ভব নহে । আমরা দিবসে গুৰু স্তর ভোজন করিলে অপরাহে তাঙ্গ পরিপাক হয়, কিন্তু রাত্রিকালে গুরুতর ভোজন করিলে ভুক্ত দ্রব্য শীঘ্র জীর্ণ হয় না । কারণ, নিদ্রতাবস্থায় শারীরিক ক্রিয়া মৰ্মীভূত হইয়া পড়ে। কোন বিষয়ের T0SBBS DDB BBBB BBBS BBB BB BB BBB DBBBSBBBB পোষণ ও তত অধিক হইবে । নব প্রস্থ ত শিশুর দেহু অপরিপুষ্ট থাকে, এ জন্য দিবরাত্রিমধ্যে সে তাধিকক্ষণ নিদ্র। ভোগ করে । সমাধি গভীর নিদ্রাভিন্ন আর কিছুই নয়। যোগী আপনার সকল ইন্দ্রিয়কে সংযত ও বশীভূত করিয়া এক গ্রচিত্তে ধীনে মগ্ন হন । কিছুমাত্র বাহ্য জ্ঞান থাকে না । সুতরাং দীর্ঘ নিদ্রার ন্যায় সমাধির কালে শরীরের সমস্ত ক্রিয় অতি ধীরে ধীরে নিষ্পন্ন হইতে থাকে, শ্বাসক্রিয়া একেবারে বন্ধ হয় । তখন ক্ষুধামান্য কেন না হইবে ? আবার যখন সেই চৈতন্যরাহিত্য প্রগাঢ় হইয় পড়ে, তখন ক্ষুংপি‘পিস। এককালে থাকে না। এই কারণে সমাহিত যোগী অনশনে থাকিতে পারেন । প্রগাঢ় চিন্তা—এটা ক্ষুপমান্দোর ইষ্ট দেবতা । যে সকল ব্যক্তি নিরস্তর মানসিক চিন্তায় নিরত থাকেন, তা হার কোন দ্রব্য অপিক ভোজন করিতে পারেন না। অরুটি পূর্বক ভোজন করিলে তাহ পরিপাক হয় না। দেহকে রুশ ও নিস্তেজ করিতে ও এমন আর নাই। সংসারে এই এক আশ্চর্য্য নিয়ম দেখিতে পাওয়া যায় যে, কোথাও একাধারে দুই , দ্রব্য এককালে থাকিতে পারে না। যে শরীর দুর্জয় পরাক্রমের আধার, সে ভাণ্ডার স্বক্ষ বুদ্ধি নাই ; পক্ষান্তরে যাহারা বুদ্ধিমান ও চিন্তাশীল, নিয়তই মানসিক শ্রমে কালতিপাত করেন, তাহার। দুৰ্ব্বল ও চিররোগী। এইরূপ সৰ্ব্বদা দেখিতে পাওয়া যায়, র্যাহারা শরীর হৃষ্টপুষ্ট ও বলিষ্ঠ করিতে যত্ন করেন, কোন স্বল্প বিষয়ে মস্তিষ্ক চালনা করিতে হইলে তাহদের শিরে বজ্ৰাঘাত