পাতা:কল্পদ্রুম - দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ.pdf/৩১০

৩১০ কল্পউরুম | যে অভিপ্রায়ে স্বই হউক, মানুষ কিন্তু ঐ দুটা বর্ণ ইতস্ততঃ দেখিতে না পাইলে প্রীত থাকিতে পারে না। আমি আমার নিজের কথাই কহিতেছি, আমি যদি এই নীল ও হরিকময়ী শোভা এইখানে দেখিতে না পাইতাম, কখনই আমি এতদিন এখানে থাকিতে পারিতাম না । বামদেব এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে অন্যমনস্কভাবে দুই এক পদ অগ্রসর হইতেছেন, এমন সময়ে সম্মুখে দেখিতে পাইলেন, মহারাজ যাহাকে জামাই করবেন বলিয়া আনিয়াছেন, সেই ধূৰ্ত্ত সম্মুখে আসিতেছে। তাহাকে দেখিয়া বামদেবের অপর এক চিন্তা উপস্থিত হইল। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, বিধাতার এই এক বিচিত্র কৌশলের উদাহরণ। বিধাতা কেমন অদ্ভুত প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন! বাহিরে কেমন শরীরলাবণ্য ! কেমন রূপমাধুর্য্য ! কেমন বদনসৌন্দৰ্য্য ! দেখিলে বোধ হয় অভ্যস্তরে যেন কত দেবভাব আছে। দেখিলে পূজা করিতে,মৈত্রী করিতে,ঘনিষ্ঠত করিতে ইচ্ছা হয়; কিন্তু বিৰাদের বিষয় এই, আমার সম্মুখে উপস্থিত প্রতিমাটি কেবল মৃজলে নিৰ্ম্মিত নয়, ইহার অভ্যস্তরে নরক ! ঘোর অন্ধকার । এবং ঘোর হলাহল বিরাজ করিতেছে । আহা ! মহারাজ কি সদাশয় লোক ! তিনি পরের দোষ দেখিতে জানেন না, পরের হৃদয়ে প্রবেশ করিতে ইচ্ছা করেন না, সকলকেই আপনার মত উদার অমায়িক ও সাধু সদাশয় ভাবিয়া থাকেন। মহারাজ পরের অনিষ্ট করিতে শিক্ষা করেন নাই। এই দুরাত্মা, এই ধূৰ্ত্ত র্তাহার কত অনিষ্ট করিল। অন্য কথা কি, তাহার প্রাণপ্রতিম। রাজকুমারীকে সাগরজলে নিক্ষেপ করিল! কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! এই দুরাচারের মায়া কান্নায় মহারাজ সকলি ভুলিয়া গেলেন । এমন দেবদুলভ গুণ মামুষের ত দেখি নাই। তিনি যত শীঘ্র এ দুরাত্মার অপরাধ বিস্তুত হইলেন, এ পামর র্তাহার কৃত উপকার তদপেক্ষ সহস্র গুণ শীঘ্র ভুলিয়া যাইবে। আবার কবে কি অনিষ্ট করে, মহারাজ একবারও সে চিন্তা করিলেন না । কিন্তু এ পামর যে স্থির হইয়া থাকিবে, অপকার চেষ্টায় বিরত থাকিবে, সে সম্ভাবনা নয়। বিধাতা এ দুরাচারকে মনুষ্যচৰ্ম্মে আবৃত করিয়া ক্রুর সর্প ব্যাঘ্র বা পিশাচ করিয়া নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহ আমি বুঝিতে পারিতেছি - না। স্বর্গ নরকে যত অন্তর, মহারাজে আর এই অধমে তত অন্তর। বিধাতা এইৰূপ সহস্ৰ সহস্র বিরুদ্ধ প্রকৃতির স্বষ্টি করিয়াছেন। বিধাতার এ বিচিত্র cकोश्रण बिझां ऊँ* बङ्ग बळैिम्। অনেকে ইহা বুঝিতে না পারিয়া ইন্টার